হাতে আর মাত্র এক মাস। আগামী নভেম্বরের ৫ তারিখ নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US Election 2024)। ডেমোক্র্যাট থেকে রিপাবলিক, দেশজুড়ে ভোট প্রচারে ব্যস্ত যুযুধান দুই শিবির। আর তারমধ্যেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) খোলাখুলি সমর্থন জানালেন বিশ্বের বিখ্যাত টেক-তাইকুন এলন মাস্ক (Elon Musk) । শনিবার আমেরিকার বাল্টারে ট্রাম্পের প্রচারে তাঁর হয়ে গলাও ফাটালেন টেসলার
হরিয়ানা ও কাশ্মীরে বিপুল ভোটে এগিয়ে কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’, অস্তমিত ‘মোদী ম্যাজিক’কর্ণধার।
ট্রাম্পের জন্য ভরা সভায় তিনি চেঁচিয়ে বলেন, “লড়াই, লড়াই, লড়াই, ভোট, ভোট, ভোট, ট্রাম্পের ভোট প্রচারের মূলমন্ত্র ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আউড়ে মাস্ক বলেন, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মুহূর্তে কিছু নেই।”
তাঁর এই কথা শুনে আনন্দে ফেটে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে তখন তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প হেরে যায়, তাহলে এটিই হবে শেষ নির্বাচন। কারণ ডেমোক্র্যাটেরা ক্ষমতায় এলে আমাদের সংবিধানসিদ্ধ বন্দুক ব্যবহার ও বাক স্বাধীনতার ওপর অনেক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এই ভোট আমাদের সংবিধান ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার লড়াই।”
Donald Trump brings Elon Musk on stage at his rally in Pennsylvania.
— Pop Base (@PopBase) October 5, 2024
অর্থ্যাৎ তাঁর এই মন্তব্য যে ডেমোক্র্যাটসদের বিরুদ্ধে মার্কিনবাসীদের মনে ভীতি তৈরি করার জন্য তা বুঝতে অসুবিধা হবে না কারওর। বাল্টারের পাশাপাশি পেনসেলভেনিয়াতেও ট্রাম্পের সভায় ছিলেন এক্স (ট্যুইটার)-এর কর্ণধার। গত জুলাইতে এই পেনসেলভেনিয়াতেই জনসভায় গুলির হাত থেকে একটুর জন্য রক্ষা পান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মাংসের চর্বির পর তিরুপতির লাড্ডুতে পোকা, শোরগোল মন্দিরে
যদিও তবে মার্কিন দেশের শেষ কয়েকটি টিভি বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলে বলে গোল দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (kamala Harris)। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। মূলত নেভাডা, পেনসেলভেনিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা ও উইসকন্সিনের মতো ‘সুইং স্টেটস’ গুলিই মার্কিন রাজনীতির দিক নির্দেশ করে।
আর ভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রেও এই রাজ্যগুলির ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওই সমীক্ষার মতে এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে কমলাই। তবে আগামী একমাসে অর্থ্যাৎ অক্টোবরে এই তিন পয়েন্টের ব্যবধান কমলা আরও কতটা বাড়াতে পারেন অন্যদিকে ট্রাম্প কীভাবে এই ব্যবধান মিটিয়ে কমলাকে টেক্কা দিতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। তবে এখনও পর্যন্ত মার্কিন দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন কমলা হ্যারিসই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে ৪০ শতাংশ ট্রাম্পকেই বেছে নিয়েছেন নিজেদের নেতা হিসেবে।
পুজোর মুখে বাড়ল না পেট্রোল-ডিজেলের দর, জানুন কলকাতা সহ সারা দেশে তেলের দাম
কিন্তু এরমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি টেক-তাইকুন এলন মাস্কের প্রত্যক্ষ সমর্থন গেম চেঞ্জার হতে পারে বলেই মনে করছে মার্কিন রাজনৈতিক মহল। কারণ এই মুহূর্তে এলন মাস্কের অর্থ ও আধিপত্য মার্কিন কেন গোটা বিশ্বেই হু-হু করে বাড়ছে। ফলে তাঁর সমর্থন পেলে অনেক ক্ষেত্রেই ভোটের ময়দানে প্রভাব খাঁটানো ট্রাম্পের পক্ষে সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া অভিবাসন, অনুপ্রবেশ ও অপরাধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের ওপর দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে মার্কিনবাসীদের। সুতরাং কমলা হ্যারিস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মাস্কের সক্রিয় সমর্থন বাইডেনদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলবে একথা বলাই বাহুল্য।