CBI vs CPIM: ‘অনেক হয়েছে জেরা নাটক’ বলে সিবিআই গোয়েন্দাদের ঘিরবে সিপিআইএম

দুর্নীতির একাধিক তদন্তে মূল দোষীদের গ্রেফতার না করে সিবিআই আর ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা কেবল অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে চলেছে এমনই অভিযোগ সিপিআইএমের। আগামী ৫…

দুর্নীতির একাধিক তদন্তে মূল দোষীদের গ্রেফতার না করে সিবিআই আর ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা কেবল অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে চলেছে এমনই অভিযোগ সিপিআইএমের। আগামী ৫ অক্টোবর সিবিআই দফতরে অভিযান হবে। বাম নেতাদের অভিযোগ, জেরার নামে নাটক চলছে। নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা কেলেঙ্কারির মতো অতি আলোচিত ঘটনার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে আদালতেও বারবার কড়া বার্তা শুনেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃ়ণমূল ও বিজেপির সেটিং স্পষ্ট। একেবারে (CBI vs CPIM) সিবিআই বনাম সিপিআইএম মুখোমুখি অবস্থানে।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন পুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে হেফাজতে নিয়ে জেরা না করা হলে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করা হবে। এখানেই বুধরার ইডি জেরা করেছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জেরার আগে আদালতে আপিল করে গ্রেফতার না করার মৌখিক রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন। জেরা শেষে ইডিকে কটাক্ষ করে বলেন, ফলাফল মাইনাস টু।

সিবিআই ও ইডির তদন্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন। এতে তৃণমূল এবং বিজেপি দুপক্ষেরই লাভ। দুর্নীতিগ্রস্তরা ভাগাভাগি করে এই দুই দলেই রয়েছে তাই ধামাচাপা দিচ্ছে দুই পক্ষ মিলেই। নারদ ঘুষকান্ড, চিটফান্ড, নিয়োগ দুর্নীতি আজ পর্যন্ত কোনও দুর্নীতিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি চার্জশিট দেয়নি। তিনি বলেন,আগামী ৫ অক্টোবর আমরা সিবিআই দফতরে অভিযান করব।

সুজন বলেছেন, তদন্ত নিয়ে আদালত বারবার উষ্মা প্রকাশ করে বলছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিতে আর কত সময় লাগবে? আমরা বলছি, চিটফান্ড মামলায় ৯ বছর হয়ে গেল এখনও চার্জশিট দেয়নি কেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরাও কি এতে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক কারণে?

সুজন চক্রবর্তী বলেন, নারদ স্টিং অপারেশনে লোকে চোখে দেখেছে হাতে হাতে টাকা নিতে। শুভেন্দু অধিকারীকেও টাকা নিতে দেখা গেছে। এখন তিনি বিজেপির ডালপালা ধরে আছেন বলে বাদ দেওয়া চলবে না।  মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আগে জানলে টিকিট দিতেন না।