সদ্য ব্রিগেড মিটিংয়ে যৌবনের ঝড় তুলেছে কংগ্রেসের ঘনিষ্ট বন্ধু সিপিআইএম। জনপ্নাবনে ভেসে যাওয়ার স্মৃতি মেদুরতা শীতের নরম রোদের মতো মেখে মৌতাতে মগ্ন বাম শিবির। পার্টি অফিসগুলিতে চলছে লাল চা ও ধূমপানের ফুসফুস থেকে বিপ্নবী ধোঁয়া বের করার পর্ব। এমনই সময় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলেন কাছে পৌঁছে গেল কংগ্রেসের (Congress) চিঠি-১০টি আসন দাও! দিল্লি থেকে পাঠানো চিঠিতে কংগ্রেসের এত আসন দাবিতে যতটা তৃণমূল বিস্নিত তার চেয়েও বেশি ঘেঁটে ঘ বাম শিবির।
জানা গেছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে যে ১০টি আসন দাবি করেছেন তার মধ্যে ৮টিতে গতবার জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আর ২টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাথে আলোচনা করেই তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকা দিল্লির তৃণমূল নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের চাহিদা তালিকা পাঠিয়েছেন।
কংগ্রেসের বঙ্গ নেতৃত্ব জানেন এতগুলো আসন ছাড়বে না ইন্ডিয়া শরিক তৃণমূল। তবে কে দেবে? সূত্রের খবর তৃণমূল দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেই ধরে নিয়ে কংগ্রেস এবার চিঠি পাঠাবে সিপিআইএমের কাছে। কমপক্ষে ১২টি আসন দাবি করা হবে। তাদের আশা বাংলায় আপাতত ভোটে ‘সর্বহারা’ বাম নেতৃত্ব এই দাবি মেনে নেবেন। ইন্ডিয়া জোট ছাড়াও সিপিআইএম ও কংগ্রেসের আলাদা মাখামাখি সম্পর্ক সেই ২০১৫ সাল থেকে। আর গত ২০২১ সালের কিছু আগে থেকে ঘোষিত জোট চলছে।
এদিকে বিজেপি বিরোধী ইল্ডিয়াতে তৃণমূলকে পাশে রেখে পশ্চিমবঙ্গে দশটি আসন চেয়ে কংগ্রেসের চিঠির খবরে ফের বিপাকে সিপিআইএম। রাজ্যে কে কার প্রতিপক্ষ তার নিয়ে তীব্র ধন্ধে বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরা। একদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বহরমপুরে এসে আমাকে হারাও। তৃণমূলের নেতৃত্ব দুর্নীতিতে জড়িত বলেও কটাক্ষ করছেন অধীর। আর সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন তৃণমূল পুরো জনগণের টাকা লুঠ করছে। এর মাঝে কংগ্রেসের আসন দাবি সম্বলিত চিঠি গেল তৃণমূলের কাছে।