রামপুরহাট গণহত্যার রিপোর্ট পেশ বিজেপি প্রতিনিধি দলের

১০ দিন পার হয়েছে রামপুরহাট গণহত্যার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে রয়েছে সমগ্র দেশ। ঘটনার পোেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধিদল। দিল্লির প্রেরিত সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং…

১০ দিন পার হয়েছে রামপুরহাট গণহত্যার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে রয়েছে সমগ্র দেশ। ঘটনার পোেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধিদল। দিল্লির প্রেরিত সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। চলতি সপ্তাহের বুধবার তাঁরা রিপোর্ট পেশ করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে।

মোট পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল রামপুরহাটে গিয়েছিলেন। গত ২৪ মার্চ তাঁরা পৌঁছে যান বগটুই গ্রামে। বোলপুরে তাঁদের বাধা দেওয়া হলেও সেই জটিলতা কাটিয়ে বগটুই গ্রামে পৌঁছান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। সেই কমিটিতে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা সাংসদ সত্যপাল সিংহ এবং কর্নাটকের প্রাক্তন আইজি কে সি রামমূর্তি। এমনকি ছিলেন ভারতী ঘোষও। সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বগটুই গ্রাম ঘুরে দেখেন তাঁরা।

এক সপ্তাহ পরে বুধবার সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছেন জেপি নাড্ডার কাছে। যেখানে খুব স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা। তৃণমূলের জমানায় মাফিয়া রাজ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মানুষ প্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তৃণমূলের নেতারা নানাবিধ অবৈধ কারবারের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে। যার কারণেই ওই প্রকারের গণহত্যার মতো কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। পুলিশের আধিকারিকেরাও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের আধিকারিক এবং কর্মীরা তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নকে হাতিয়ার করে বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছিল বিজেপি। যা আরও জোরাল হয়েছে রামপুরহাটের ঘটনার পরে। সেই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্দিং কমিটির রিপোর্টে। একদম শেষে ওই কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে সর্বভারতীয় আধিকারিকদের কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিষয়টি কেন্দ্রের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ।