News Desk: মাত্র ৩ বছর ১১ মাস বয়সে India Book of Records এর খেতাব জয় করে নিল ঝাড়গ্রামেরই এক মেধাবী ক্ষুদে পড়ুয়া সংস্থিতা মাহাতো। ১৪৭ সেকেন্ডের মধ্যে ১০০ টি দেশের রাজধানীর নাম নির্ভুলভাবে বলে সংস্থিতা এই রেকর্ড তৈরি করলো।
আদতে বেলপাহাড়ীর বাসিন্দা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম শহরেই থাকে বছর তিনেকের সংস্থিতা মাহাতো। কিডজি স্কুলের নার্সারি ক্লাসের পড়ুয়া সে। বাবা সত্যজিৎ মাহাতো গোপীবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। মা ঝুমা পাইন মাহাতো আইসিডিএস কর্মী। অন্যান্য শিশুর মতোই সংস্থিতা ছবি আঁকা, কার্টুণ দেখা নিয়ে মশগুল। কিন্তু তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে তার স্মৃতি শক্তি।
একসময় আইসিডিএস এর পরীক্ষার জন্য পাঠরতা মায়ের পড়া শুনে শুনে মনে রেখে দিত সে। কিন্তু লকডাউন কালে স্কুল বন্ধ থাকার সময় নিজের প্রতিভা অন্যভাবে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে সে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ অংশগ্রহণ করে সংস্থিতা। ১০০ টি দেশের রাজধানীর নাম মাত্র ১৪৭ সেকেন্ডে বলে দিয়ে এখন তার নাম রেকর্ডসে পাতায়।
সংস্থিতার বাবা সত্যজিৎ মাহাতো গোপীবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী এবং মা ঝুমা পাইন মাহাতো বেলপাহাড়ির ডাইনমারী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। বর্তমানে সত্যজিৎ কর্মসূত্রে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে থাকেন। ।মা ঝুমা পাইন মাহাতো বলেন,‘স্বামী স্বাস্থ্যকর্মী তাই সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে প্রতিদিন বেরিয়ে যান এবং সন্ধ্যা হয় বাড়ি ফিরতে। আর লকডাউনের জেরে বাড়ির মধ্যেই আমি ও মেয়ে সর্বক্ষণ আবদ্ধ। বাড়ির কাজকর্ম থেকে রান্না করার সময়ে মেয়েকে আমি ছড়া থেকে বিভিন্ন জিনিস মুখে বলতে থাকি আর ও তা শুনেই শিখছে নানা জিনিস।
অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার পদে পরীক্ষার জন্য আমি এবছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন দেশ ও রাজধানীর নাম খাতায় লিখে মুখস্থ করছিলাম। ওই সময় মেয়ে পাশে বসে থাকত। একদিন দেখি ও নিজেই দেশের ও রাজধানীর নাম নিজে নিজে বলছে। ওই ঘটনা দেখার পর তিনদিনে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম মুখস্থ বলতে পেরেছিল মেয়ে।’ সংস্থিতার বাবা সত্যজিৎ মাহাতো বলেন,‘মেয়ে নিজের থেকে একশো দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারায় আমি একদিন ওর মুখস্থ বলতে পারার সময়ে মোবাইলে ভিডিও করি। তাতে ২ মিনিট ২৭ সেকেণ্ডে সব বলতে পারে। আর ওই ভিডিও ই-মেল মারফত ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়ে ছিলাম গত ৩১ আগস্ট। তারপর ১১ সেপ্টেম্বর একটি ই-মেল আসে। গতকাল বাড়িতে ক্যুরিয়ার মারফত ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে মেডেল, শংসাপত্র, পেন, কার্ড পাঠিয়েছে। খুবই ভালো লাগছে মেয়ে এভাবে শিখতে পেরেছে বলে।’