বিধবা বিবাহ চালু করেন ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ বিদ্যাসাগর। তাঁর কীর্তির কথা তুলে ধরেই হিন্দু বিধবাদের আক্রমণ করলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।
সোশাল মিডিয়ায় লজ্জার লেখিকা লিখেছেন, “বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশত বার্ষিকীতে ভাবছি —
বিদ্যাসাগরের মতো হিন্দু ধর্মের আরও কোনও সংস্কারক গত দুশ বছরে জন্মেছেন কি? কারও কথা তো জানিনা। বিধবারা তো এখনও হবিষ্যি খান। একেবারে হবিষ্যি না হলেও মাছ মাংস বাদ দিয়ে খান। শাড়িও পরেন সাদা।
একই বাড়িতে থাকেন, মায়ানমারে খেয়ে ভারতে ঘুমোতে যান তাঁরা! জানেন কোথায় এই অদ্ভুত গ্রাম?
একেবারে সাদা না পরলেও লাল রঙ এড়িয়ে চলেন। কপালে লাল টিপও পরেন না। এরকম আমি শিক্ষিত বাড়িতেই দেখেছি। বিধবার বিয়ে? হাজারে কটা হয় কে জানে?”
শুধু বিধবা বিবাহ নয়, নারী শিক্ষার পক্ষেও আন্দোলন করেন বিদ্যাসাগর। বর্তমান সমাজের নারী শিক্ষা নিয়ে তসলিমা লিখেছেন, “মেয়েদের শিক্ষাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিড ডে মিল জুটবে বলে, বা বিয়ের পাত্র জুটবে বলে।
বিজয়া দশমীতে মা দুর্গার বিদায়: সিঁদুর খেলার আনন্দ ও আবেগের মিলন
মেয়েরা পড়াশুনো করে বড় হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে, স্বনির্ভর হবে, নিজের জীবন নিজেই পরিচালনা করবে — এমন মহৎ উদ্দেশে নয়।
ধর্মীয় কুসংস্কারে বিদ্যাসাগরের সময়ে সমাজ যতটা আচ্ছন্ন ছিল, তার চেয়ে তো এখন কিছু কম আচ্ছন্ন নয়।”
নবরাত্রির প্রাক্কালে জানুন দেবীর ন’টি রূপের কথা!
তসলিমা নাসরিন আরও লিখেছেন, “জাত পাতের বিরুদ্ধেও তো লড়েছিলেন বিদ্যাসাগর। জাত পাত ওপরে ওপরে আজ নেই হয়তো, ভেতরে ভেতরে ঠিকই কিন্তু আছে।
বিদ্যাসাগরের বাংলা বর্ণ পরিচয়? কজন পড়ে আজকাল! বাচ্চারা তো অ আ ক খ নয়, এ বি সি ডি পড়ে। বাংলা শিখে নাকি কোনও লাভ নেই, তাই পড়ে না।”