প্রাকৃতিক প্রাণী জগতের একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বিহঙ্গ কুল বিশ্বজুড়ে নানা প্রজাতির পাখির মধ্যেও রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য কারোর বাহারি গায়ের রং, কারোর রাজকীয় ঝুঁটি, কারোর আবার মনমুগ্ধকর লেজ আমাদের আকৃষ্ট করে। তবে আজ বলব বিশেষ ধরনের পাখির কথা যার রয়েছে একটা ইউনিক বৈশিষ্ট্য।
আমরা এতদিন জেনে এসেছি যে কেবল গিরগিটি গায়ের রং পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু এমন স্বভাব আছে পাখিদের মধ্যেও। মজার কথা হল এক্ষেত্রে গিরগিটি হচ্ছে অনুধাব এগিয়ে রয়েছে এই প্রজাতির পাখিটি। ছোট্ট পাহাড়ী এই পাখিটি চোখের নিমেষে বদলে ফেলতে পারে এর গায়ের রং। প্রতিবার মাথা ও দেহ ঝাকানোর সাথে সাথে বদলে যায় এদের গায়ের রং। আবার একই সময় দু তিনজন মিলে পাখিটিকে দেখলে এক একজনের কাছে এক এক রঙে ধরা দেয় সেই পাখি। অবাক করার মত বৈশিষ্ট্য সম্পন্নই পাখিটির নাম সুরাকাভ।
এটি মূলত হামিং বার্ড প্রজাতির পাখি। সচরাচর এই পাখির দেখা মেলে নর্থ আমেরিকায়। এরা প্রতি সেকেন্ডে একবার করে পাখা ঝাপটায় আর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় তার গায়ের রং। আকারে ছোট্ট হলো ওই পাখিটি দেখতে অদ্ভুত রকমের সুন্দর। সুরাকাভ নামের এই পাখিটি আকার মাত্র কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। তুলনামূলকভাবে চঞ্চু হয় অনেক লম্বা ও নরম। আকারে ছোট হওয়া এরা সাধারণত দৃষ্টিগোচর হয় না। পাখির এই দ্রুত আমি রং বদলের বৈশিষ্ট্যটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত এর পালকের ওপরের দিকে কেরাটিন নামক ধরনের পাতলা প্রোটিনের পরিষ্কার স্তর রয়েছে। এই স্তরের উপর সূর্যালোক পরার পর কিছু আলো প্রতিফলিত হয়, কিছু আলো পালকের মধ্যে প্রবেশ করে আর কিছু আলো তিনটি স্তরের উপর গিয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় পরে এই আলোর সমষ্টি বিভিন্ন রকম রং তৈরি করে। তবে এটা নির্ভর করে আপনি কোন অবস্থান থেকে আলোর সমষ্টির দিকে দেখছেন তার ওপর। একই আলোর সমষ্টি এক এক জায়গা থেকে এক এক রকম রংয়ের সৃষ্টি করে।
কথায় আছে জিনিস যেটা ভালো, দাম সেটার বেশিই। হামিং বার্ড গোত্রের পুরুষ এই পাখিটির মূল্য আকাশছোঁয়া। একটি সুরাকাভ পাখির জন্য খরচ করতে হবে ২৭ হাজার ডলার বা ২৭ লক্ষ টাকা। এরা মূলত এন্টোথার্মিক অর্থাৎ এদের তাপমাত্রা বাইরে পরিবেশের সাথে পরিবর্তিত হয় না। এদের দেহে বায়ুপূর্ণ গহ্বর ও এদের ফুসফুসের সাথে বায়ু থলি থাকায় এরা সহজেই উড়তে পারে।