শিবকান্তের সবজি বিক্রেতা থেকে বিচারক হওয়ার কাহিনী হার মানাবে সিনেমাকেও

সব্জির স্টল লাগানো থেকে বিচারকের আসনে বসার লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার শিবকান্ত কুশওয়াহার। শিবকান্ত, যিনি সাতনা জেলার অমরপাটন শহরে একটি সবজির…

সব্জির স্টল লাগানো থেকে বিচারকের আসনে বসার লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার শিবকান্ত কুশওয়াহার।

শিবকান্ত, যিনি সাতনা জেলার অমরপাটন শহরে একটি সবজির স্টল চালাতেন, তিনি এখন ন্যায়বিচারের চেয়ারে বসবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

শিবকান্ত বলেন, “আমি একটা সবজির স্টল চালাতাম এবং যখন বলতাম যে একদিন আমি বিচারক হয়ে দেখাব, তখন লোকেরা আমাকে পাগল বলে ডাকত। কিন্তু আমার মন বলত, সাফল্য পাবই।’

তিনি সিভিল জজ ২০১৯ পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন। শিবকান্তের পরিবার জানিয়েছে, সাফল্যের মূল মন্ত্র একটাই— কঠোর পরিশ্রম, পরিশ্রম ও পরিশ্রম। শিবকান্ত কুশওয়াহা ওবিসি বিভাগ থেকে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। কঠোর পরিশ্রম ও পরিশ্রমের জোরে শিবকান্ত কুশওয়াহা এই পদ অর্জন করেছেন। যাইহোক, আজও শিবকান্ত কুশওয়াহার পরিবার কাঁচা বাড়িতে বাস করে।

সাতনা জেলার অমরপাটনে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া শিবকান্ত কুশওয়াহার বাবা কুঞ্জি লাল কুশওয়াহা একটি সবজির স্টল লাগিয়ে পুরো পরিবারকে বড় করে তোলেন। যদিও শিবকান্তের গত হয়েছেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিবকান্ত কুশওয়াহা মেজো। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক ছিল তার, কিন্তু বাড়ির করুণ অবস্থা দেখে তাকে একটি সবজির স্টল চালাতে হয়েছিল।

এরপর একজন বিচারক তাকে এলএলবি করার পরামর্শ দেন। সবজি বিক্রি করতে গিয়েও পড়াশোনা ছাড়েননি শিবকান্ত কুশওয়াহা। যাইহোক, তার ভাগ্য ঘুরে যায় যখন ২০০৭ সালে, আখের রস খাওয়ানোর সমযে একজন বিচারক পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন এলএলবি করবেন না? তারপর বিচারক হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন সুবকান্ট। এখান থেকেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করে বিচারক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিবকান্ত।

শিবকান্ত কুশওয়াহা অমরপাটনের সরকারি স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর এলএলবি করার পর রেওয়ার ঠাকুর রণমত সিং কলেজে তিনি আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং সিভিল জজের প্রস্তুতিও শুরু করেন। নয়বার শিবকান্ত কুশওয়াহা ব্যর্থ হন কিন্তু হাল ছাড়েননি এবং দশম প্রচেষ্টায় তিনি অবশেষে সফল হন।

বলা হয়, প্রত্যেক পুরুষের উন্নতিতে যদি কোনও মহিলার হাত থাকে, তাহলে শিবকান্তের সাফল্যে তাঁর স্ত্রী মধু কুশওয়াহারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি একটি বেসরকারী স্কুলে পেশায় একজন শিক্ষক এবং টিউশন পড়ানোর মাধ্যমে, তিনি তার স্বামীকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছিলেন।