Jaleshwar Temple: জলের নীচে মহেশ্বর, পূন্যতীর্থ জলেশ্বর

বিশেষ প্রতিবেদন: সারাবছর মন্দির সংলগ্ন বিরাট জলাশয়ে  (Jaleshwar) মহাদেব থাকেন, আর চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ন্যাসীরা তাকে জল থেকে তুলে আনেন৷ একদম সঠিক৷ আপনি সারাবছর পুকুরে খুঁজলেও…

Jaleshwar

বিশেষ প্রতিবেদন: সারাবছর মন্দির সংলগ্ন বিরাট জলাশয়ে  (Jaleshwar) মহাদেব থাকেন, আর চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ন্যাসীরা তাকে জল থেকে তুলে আনেন৷ একদম সঠিক৷ আপনি সারাবছর পুকুরে খুঁজলেও পাবেন না মহেশ্বরকে৷ চৈত্র সংক্রান্তিতে অনেক সন্ন্যাসী মিলে তোলেন মহাদেবকে৷ ধুমধাম করে পুজো হয় বাবার৷ চড়কের মেলা বসে৷ এক অদ্ভূদ সুন্দর পরিবেশ৷

সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখলে, গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য৷ সাথে গ্রাম্য মেলা৷ পাঁপড় ভাজা হোক বা জিলিপি৷ হাজার হাজার মানুষ এই দিন নিজের মানত পূরণ করেন৷ আপনাদের তাক লাগবে দেখলে৷ সবচেয়ে বেশী মানত হয় দণ্ডি কাটার৷ কত মহিলা কত যুবক দেখবেন, পুন্যপুকুরে স্নান করে দণ্ডি কেটে হয় মন্দিরে যাচ্ছেন বা মন্দির প্রদক্ষিণ করছেন৷ আমি দেখে অবাক হয়েছিলাম ৷ কত যুবকের চাকরী পাবার বাসনা পূরণ হয়েছে , অনেকে সন্তানলাভ করেছেন৷ সবাই নিজের মানত এইদিন পূরণ করেন৷ পাশের একটা গাছে বেঁধে যান ঢিল৷ গাছটা আমফানে পড়ে গেলেও , তার ডালে কত মানসিক , কত মানুষের অপূর্ণ বাসনার আশার ঢিল গুলো বাঁধা আছে৷

পুজোর পর বাবা আবার জলে চলে যান৷ সারাবছর এই পুকুরে তার বাস৷ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই পরিবেশে আছে ছোট্ট একটি পার্ক৷( পার্কের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা) বড় মাঠ৷ পিকনিক করবার জায়গা, গেস্টরুম , শৌচাগার থেকে স্নান করে পোশাক পরিবর্তন সবরকম ব্যবস্থা আছে৷ উচ্চস্বরে ডি জে বক্স বাজনো এখানে নিষিদ্ধ ৷

আশেপাশে, লুচি তরকারি , ফুচকা , আইসক্রিম, টুকটাক খাবার পেয়ে যাবেন৷ বাড়ি থেকে কিছু করে আনলে , মাঠে বসে খাবার সুন্দর জায়গা আছে৷ জলের সমস্যা নেই ৷ সারাদিন সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্য বেশ ভালো জায়গা৷ সাথে ভোলেনাথের আশীবার্দ পরম প্রাপ্তি ৷ মন্দিরের পা দিলেই মন শান্ত হয়ে যেতে বাধ্য৷ যেকোন দিন পুজো দেওয়া যায়৷ আর পার্ক খোলা থাকে সকাল সকাল থেকে বিকাল চারটেয় অবধি৷ যদিও খুব ছোট্ট পার্ক কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন৷

উঃ ২৪ পরগণার বনগাঁ লাইনের , গোবরডাঙা স্টেশনে নেমে টোটো রিজার্ভ করে যাওয়া যায় অথবা দুটো অটো পাল্টে যাওয়া যায়৷ অথবা হাবড়া নেমে বনগাঁগামী বাস ধরলে, জলেশ্বর মোড়ে নেমে, টোটো ধরে সোজা মন্দির৷ মন্দির পথের সবুজ গ্রাম আপনাদের মন কাঁড়বেই৷ শহরের কোলাহলের থেকে দুর কাটানো যেতেই পারে শিবশম্ভূর পায়ের কাছে কিছুক্ষণ ৷

আশ্চর্যের বিষয় আপনি সারাবছরের কোনদিন মহাদেব কে জলে খুঁজেই পাবেন না৷ অনেকে অনেকবার চেষ্টা করেছেন৷ পাবেন শুধু চৈত্র সংক্রান্তিতে৷