Manna Dey: কফি হাউস গাইতে চেয়েছিলেন শক্তি, গাইলেন মান্না

Special Correspondent: মান্না দে’র (Manna Dey) গান বললে তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে কফি হাউস গানটি। কিন্তু সেই গান তৈরির এক ইতিহাস রয়েছে। বিশেষত গানের গায়ক…

ekolkata24 Manna Dey

Special Correspondent: মান্না দে’র (Manna Dey) গান বললে তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে কফি হাউস গানটি। কিন্তু সেই গান তৈরির এক ইতিহাস রয়েছে। বিশেষত গানের গায়ক নির্বাচন বেশ চমকদার।

কফি হাউস গানটির সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ, যিনি নচিকেতা ঘোষের ছেলে। গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। নচিকেতা-গৌরীপ্রসন্ন সেই সময়ে বাংলা গানের সেরা জুটি। যাই তৈরি করেন তাই হিট। তো গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এমনই একটি গান করবেন। গানটি তোলাবেন শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে। তিনি গিয়েছেন নচিকেতার বাড়িতেই। সেই সূত্রে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

গৌরীপ্রসন্ন নচিকেতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। গান তোলার কাজ করছেন। বাড়িতে এসে ঢোকেন সুপর্ণকান্তি। গৌরীপ্রসন্ন মজা করেই বলেছেন, “কী বাইরে আড্ডা মেরে সময় কাটাচ্ছ?” উত্তরে তিনি বলেন, “কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছো। একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না। এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পারো।” গৌরীপ্রসন্ন বলেন, “তুমি তো অক্সফোর্ডের এমএ হয়ে গিয়েছো। আড্ডা নিয়ে বাংলা গান গাইবে?” সুপর্ণ বলেন, “কেন নয়। কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো।” গৌরীপ্ৰসন্ন উত্তরে বলেন, “তোমার বাবা কি আর সে গান গাইবেন?”

কথা বলতে বলতেই দু কলি লেখাও হয়ে যায় গৌরীপ্রসন্নের। ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।’ মাঝে সুরও দিতে শুরু করে দেন সুপর্ণকান্তি। শেষে যখন গান অনেকটা তৈরি, গানের সুর শুনে সেই গান গাইতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শক্তি ঠাকুর। সুপর্ণকান্তি রাজি ছিলেন না। তাঁর ইচ্ছে গান গাইবেন মান্না দে। হয়েওছিল তাই।

কিন্তু শেষ স্তবক নিয়েও হয় এক প্রস্থ সমস্যা। আসলে শেষে সুপর্ণকান্তি চান আরও একটি স্তবক। গৌরীপ্রসন্ন রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত হয় সেই শেষ স্তবক। ‘সেই সাতজন নেই, তবুও টেবিলটা আজও আছে।’ শেষ তিন লাইন গৌরীপ্রসন্ন লিখেছিলেন চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে। হাওড়া স্টেশনে। একটি সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো দিকে শেষ স্তবক লিখে এক চেনা ব্যক্তির মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন সুপর্ণকান্তির কাছে। এরপর মুম্বইয়ে গানটি রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে।