Perusetus colossus: নীল তিমি তো স্লিম! ডাইনোসরের চেয়েও বলশালী বড় মাছের সন্ধান

প্রকৃতির সৃষ্ট এই পৃথিবী রহস্যে ভরপুর এবং যখন এই রহস্যের স্তর একে একে আমাদের সামনে উন্মোচিত হয় তখন আমরা হতবাক হয়ে যাই। এমনই একটি রহস্য…

প্রকৃতির সৃষ্ট এই পৃথিবী রহস্যে ভরপুর এবং যখন এই রহস্যের স্তর একে একে আমাদের সামনে উন্মোচিত হয় তখন আমরা হতবাক হয়ে যাই। এমনই একটি রহস্য আজকাল মানুষের মধ্যে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে যা জেনে আজ বিস্মিত গোটা বিশ্ব। যখন আমরা ছোট ছিলাম এবং জিনিসগুলি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে ডাইনোসররা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রাণী এবং বর্তমানে নীল তিমি (Blue Whale) হল পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণী। কিন্তু আজকাল যা সামনে এসেছে তা হল পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণীর তকমা পাবে এমন একট মাছ যার কাছে নীল তিমি যেন স্লিম চেহারা।

পেরুর (Peru) একটি মরুভূমিতে, বিজ্ঞানীরা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রাণী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই প্রাণীটি একটি মাছ। যার ওজন হতো প্রায় ৩৪০ টন। এই ওজন অনুসারে অনুমান করা যায় যে এই প্রাণীটি নীল তিমির চেয়ে তিনগুণ ভারী ছিল। যদিও এটি আমাদের পৃথিবী থেকে কয়েক হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। যে বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেছেন তাদের মতে এর নাম Perusetus colossus.

Perusetus colossus-এর কত ওজন হতে পারে? প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মরুভূমিতে (Peruvian Desert) এর কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি দেখে অনুমান করা যায় যে এটি প্রায় ৩৯ মিলিয়ন বছর আগে এখানে বাস করত। জার্মানির স্টেট মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি স্টুটগার্টের (Germany’s State Museum of Natural History Stuttgart) গবেষক ডঃ এলি এমসন (Dr Eli Amson) এই তথ্য দিয়েছেন৷ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “খোঁজার সময় এই প্রাণীটির প্রায় আঠারোটি হাড় পাওয়া গিয়েছে।“ এই প্রাণী সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি ছিল এক ধরনের তিমি। যাকে পৃথিবী চেনে ব্যাসিলোসরিড নামে।

বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কঙ্কালের ১৩টি হাড় শুধু কশেরুকা (মেরুদন্ডের অংশ) এবং চারটি পাঁজর ও একটি নিতম্বের হাড় রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান সঠিক হলে খুব শীঘ্রই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারবেন তারা। বিজ্ঞানীরা এর ওজন সম্পর্কে বলেছেন যে এটি পৃথিবীর ৩০টিরও বেশি আফ্রিকান বন্য হাতির সমান হবে।