Praying Mantis: বাংলার পতঙ্গ গবেষণায় নতুন দিশা দেখালেন উদয়নারায়ণপুরের সৌরভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেয়িং ম্যান্টিস (Praying Mantis)— শব্দটার সাথে আমরা একদমই পরিচিত নই। কিন্তু প্রায়শই আমরা এদের আমাদের আশেপাশে দেখে থাকি। প্রেয়িং ম্যান্টিস আসলে একপ্রকার উপকারী…

Saurabh from Udaynarayanpur has written a book about Praying Mantis

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেয়িং ম্যান্টিস (Praying Mantis)— শব্দটার সাথে আমরা একদমই পরিচিত নই। কিন্তু প্রায়শই আমরা এদের আমাদের আশেপাশে দেখে থাকি। প্রেয়িং ম্যান্টিস আসলে একপ্রকার উপকারী পতঙ্গ যা আমাদের চারপাশে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। এবার এদের নিয়েই ‘প্রেয়িং ম্যান্টিসদের কথা’ শীর্ষক বই লিখলেন গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের খিলার বাসিন্দা বিশিষ্ট গবেষক সৌরভ দোয়ারী।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক অমল কুমার মন্ডলের সাথে যৌথভাবে বইটি লিখেছেন জীববিদ্যার গবেষক সৌরভ দোয়ারী। রবিবার বইটি প্রকাশ করেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রজাপতি বইয়ের লেখক বিখ্যাত লেখক যুধাজিৎ দাশগুপ্ত। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে প্রেয়িং ম্যান্টিসদের উপর বিস্তারিত গবেষণার কাজ চালিয়েছেন অমল বাবু ও সৌরভ বাবু। তারপরই এদের নিয়ে প্রথম একক বাংলা বই দু’জনে লিখে ফেলেন।

সৌরভ দোয়ারীর কথায়, প্রেয়িং ম্যান্টিসরা একধরনের উপকারী পতঙ্গ। কিন্তু বাংলা ভাষায় এদের নিয়ে তেমন চর্চা হয়নি। তাই বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে এরা অনেকটা অজানাই থেকে গিয়েছে। সেই অভাব দূর করার জন্যই এই বই লেখা। তিনি আরও জানান, এরা সম্পূর্ণ মাংসাশী পতঙ্গ। দিনের পাশাপাশি রাতেও এরা নিজ কাজে সক্রিয়। এরা কৃষিক্ষেতে থাকা বিভিন্ন কীটকে খেয়ে কৃষকের উপকার করেন। তাই প্রেয়িং ম্যান্টিসদের ‘কৃষক বন্ধু’ বলা হয়।

বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে প্রেয়িং ম্যান্টিসদের প্রায় ৪৫ রকম প্রজাতির দেখা মেলে। হাওড়া জেলায় প্রায় ১০-১২ রকম প্রজাতি দেখা যায়। কিন্তু এরা লোকচক্ষু অন্তরালেই থেকে যায়। কেউ গঙ্গা ফড়িং, কেউবা আবার বড়ো পতঙ্গ ভেবে ভুল করে থাকেন। এই ভুল দূর করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতেই এই বই লেখা বলে জানান পেশায় শিক্ষক সৌরভ দোয়ারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার পতঙ্গ গবেষণায় এই বই অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠবে।