আরবের আমিরা নাকি দুবাইয়ের নোরা, কে তেল দুনিয়ার মালকিন?

সৌন্দর্য, অর্থ বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে সৌদি রাজকন্যা আমিরা, দুবাই রাজকন্যা শেখা মেহরার মধ্যে কে এগিয়ে আছে, এই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সৌন্দর্যের তুলনা যখন…

সৌন্দর্য, অর্থ বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে সৌদি রাজকন্যা আমিরা, দুবাই রাজকন্যা শেখা মেহরার মধ্যে কে এগিয়ে আছে, এই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সৌন্দর্যের তুলনা যখন দুই অপরূপার মাঝে হয় , তখন কে কাকে টপকেছেন তা রূপে গুণে নির্বাচন করার কঠিন হয়ে যায়। বলতে গেলে সৌন্দর্যের বিচারে তুই রাজকন্যায় কেউ কাউকে হারাতে পারবেনা। আমিরা এবং শেখা মেহরার মাঝে বেশ কিছু মিল রয়েছে।

তারা দুজনেই ঘোড়া চালাতে ভীষণ ভালোবাসে। এছাড়া এই দুই সুন্দরী বেশ ফ্যাশন সচেতন। তবে এই দুই রাজকন্যার পরিচিতি লাভের ভিন্নতা রয়েছে। সৌদি রাজকন্যা সমাজসেবা মূলক কাজ করে বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু দুবাইয়ের রাজকন্যার পরিচিতি বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য। রূপকথার রাজকুমারীদের মত জীবনযাপন।

তার বিলাসবহুল জীবনের কথা শুনলে যে কারো চোখ কপালে উঠতে পারে। অবাক করা বিষয় হল শেখা মাহেরার বর্তমান সম্পত্তির মূল্য সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। মেহরার জন্ম দুবাইয়ে তবে তিনি পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডে। তাই তার লাইফ স্টাইলে ভিন্নতা দেখা যায়। ঘোড়া সংগ্রহ এই রাজকুমারীর শখ বলা চলে। মেহরার সংগ্রহে বেশ কয়েকটি ঘোড়া রয়েছে যেগুলির জন্য তিনি প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেন। এছাড়াও দুবাই রাজকন্যার সংগ্রহে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে। যেগুলির পেছনে তার প্রতিবছর কোটি টাকা খরচ হয়।

দুবাই রাজকন্যা ২৪ তম জন্মদিনে ৩৪ কোটি টাকা দামের একটি গাড়ি গিফট পান তার বাবার কাছ থেকে। এছাড়াও তার সংগ্রহে ল্যাম্বারগিনি ফারারি, বিএমডাব্লিউ-এর মত আরো বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে। জানা যায় তার একটি প্রাইভেট বিমানও আছে। অন্যদিকে সৌদি রাজকন্যা আমিরার তেমন একটা ঘোড়া বা গাড়ির সংগ্রহের শখ নেই৷

দুবাই রাজকন্যার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিল্ডিং আইফেল টাওয়ারের নিচে একটি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সৌদি রাজকন্যা আমিরার জীবন যাপন রূপকথার রাজকুমারীদের মত নয়। এই রাজকন্যা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালেও, রাজপরিবারের মেয়েদের মতন জীবনযাপন করেন না তিনি। তিনি যেন প্রমাণ করলেন রাজ পরিবারে জন্মালেই রাজকীয় ভাব নিয়ে চলতে হয় না বরং সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই রাজ পরিবারের দায়িত্ব।

আমিরার এমন ভিন্নধর্মী হওয়ার কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে বাল্যকালে তার বাবা-মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়া। আমিরা বেড়ে উঠেছেন তার মায়ের কাছে। তাই হয়তো রাজ পরিবারের মেয়েদের থেকে তিনি অনেকটাই আলাদা। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছেন। যদিও এইসব ভালো কাজের পেছনে তার পরিচিতি পাওয়ার কোন লোভ নেই। .

আমিরা নিজে স্বাধীনচেতা নারী। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে বাস করেও নির্দ্বিধায় এক স্বাধীন জীবনযাপন করেন তিনি। যখন সৌদিতে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল তখনো এই রূপবতী পুরুষের লাল চোখকে অগ্রাহ্য করে সৌদি আরবের রাস্তায় তীব্র গতিতে গাড়ি ছুটিয়েছেন। ব্যতিক্রমী এই রাজকন্যা চান সৌদি আরবের সব নারী যেন তার মত স্বাধীন এবং স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।

আমিরা মাত্র ১৮ বছর বয়সে দুবাইয়ের প্রিন্স মোহাম্মদ ওয়ালিদ বিন তালাদকে দিয়ে করেন তবে নানা কারণে ২০১৩ সালে বিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০১৮ সালে আমিরা বিয়ে করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিলিয়নিয়ার খলিফা বিন বুত্তিকে।বর্তমানে এক সন্তান জায়েদকে নিয়ে বেশ সুখে দিন কাটাচ্ছেন রাজকুমারী। অপরদিকে চলতি বছরে বিয়ে সেরেছেন দুবাই রাজকন্যা মেহরা।