Saudi Arabia: তেলে নয় ফুটবলে রোজগার খুঁজতে মরিয়া সৌদি আরব

তেলের উপর আর ভরসা করতে পারছে না সৌদি আরব। অর্থনীতির সামলে রাখার জন্য মনোযোগ দিচ্ছে অন্যদিকে। যে তেলের জন্য আজ দেশটি শিখরে, হঠাৎই কেন সেই…

তেলের উপর আর ভরসা করতে পারছে না সৌদি আরব। অর্থনীতির সামলে রাখার জন্য মনোযোগ দিচ্ছে অন্যদিকে। যে তেলের জন্য আজ দেশটি শিখরে, হঠাৎই কেন সেই তেলের উপর আস্থা হারাচ্ছে সৌদি আরব?

অর্থনীতি এবং রাজনীতি যে একে অপরের পরিপূরক এই কথা মাথায় রেখেই ভিন্ন পথে হাঁটছে সৌদি আরব। সোনা এবং জ্বালানি তেলকেন্দ্রিক সৌদি আরব বুঝতে পারছে এই খনিজ সম্পদ ফুরিয়ে গেলে ফিরে যেতে হবে অতীতের সেই সময় যখন সৌদি বলতে সবাই চিনতো মরুভূমি আর বেদুইনের দেশ হিসাবে।

১৯৩০ সালে একের পর এক তেলের খনি আবিষ্কার বদলে দেয় সৌদি অর্থনীতি। তবে ক্ষমতায় আসার পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বুঝতে পারেন জ্বালানি এবং সোনার ওপর নির্ভর করে টিকে থাকা সম্ভব নয়। এই তেলের রাজ্য ধসে পড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই দেশকে আলাদাভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুবরাজ সালমান

সালমানের নেওয়া ভিসন ২০৩০ সৌদিকে এমনভাবে সাজাবে যেখানে পর্যটন ও খেলাধুলা থেকেও প্রচুর আয় আসবে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু সমস্যা নিয়ে বিশ্ব এমন একটি যুগে প্রবেশ করতে চলেছে, যেখানে জ্বালানি তেলের ব্যবহার একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। এতে সারা বিশ্ব উপকৃত হলেও বিপদে পড়বে তেল নির্ভর দেশগুলো। আর তাই আগেভাগে নিজেদের প্রস্তুতিপর্ব সেরে নিচ্ছে সৌদির যুবরাজ। সৌদি একদিকে যেমন বাইরের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই সাথে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হচ্ছে তাদের।

২০১৯ সালে প্রথম হজের বাইরে টুরিস্ট ভিসা চালু করে সৌদি আরব আর। এই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই সৌদির বুকে নিয়ম নামক স্বপ্নের শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। নিয়মের পাশাপাশি ২০৩০ সালকে সামনে রেখে সৌদির আরেকটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রজেক্ট এর নাম রেড সি হলিডে ডেস্টিনেশন। মূলত ভ্রমণপিপাসু মানুষকে নান্দনিকতার পূর্ণ আনন্দ দিতে আরব দেশটি কাজ করছে।

বর্তমানে সৌদি আরবের ৮৪ শতাংশ আসে তেল থেকে। জ্বালানি বহির্ভূত জিডিপির পরিমাণ মাত্র ১৬ শতাংশ। সালমানের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটন শিল্প এবং তেল বহির্ভূত অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে এই জিডিপির পরিমাণ পঞ্চাশ শতাংশে আনা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জিডিপির ১২ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। সংযুক্ত আরব আমির শাহী পর্যটন শিল্পে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে তার থেকে অনেক গুণ বেশি বিনিয়োগ করেছে সৌদি আরব।

শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে নয় ফুটবলের মত আকর্ষণীয় খেলা দিয়ে গোটা বিশ্বকে আকর্ষণ করতে চায় সৌদি আরব। শুধু এই খাতে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে গত কয়েক বছরের দেড় বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সৌদি আরব। শুধু ফুটবল নয়, গলফ মটর রেসিং ক্রিকেটের পেছনে সমানতালে অর্থ বিনিয়োগ করছে।গোটা বিশ্বের সামনে সৌদিকে স্পোর্টস আইকন হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বলে মত বিশ্লেষকরা