হাতের নাগালে সস্তার পেট্রোল-ডিজেল ভুটানে, হাত কামড়াচ্ছেন বাংলার চালকরা

থিম্পু ও জয়গাঁ(আলিপুরদুয়ার): বন্ধ ড্রাগন ফটক-ভুটান গেট। লাল চোখ করে রয়াল ভুটানি পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। কোনওভাবেই প্রতিবেশি দেশে ঢুকে আর পেট্রোল ডিজেল কেনার উপায় নেই…

Bharat Petroleum on Twitter

থিম্পু ও জয়গাঁ(আলিপুরদুয়ার): বন্ধ ড্রাগন ফটক-ভুটান গেট। লাল চোখ করে রয়াল ভুটানি পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। কোনওভাবেই প্রতিবেশি দেশে ঢুকে আর পেট্রোল ডিজেল কেনার উপায় নেই সীমান্তবর্তী আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁবাসীর। অগত্যা সেঞ্চুরি হাঁকানো পেট্রোল কিনে পকেটের গচ্চা দিতে হচ্ছে।

এক লিটার পেট্রোলের দাম ভুটানের মূল্যে ৬৮ টাকার মতো। আর ডিজেল মূল্য ৬৬. ৪১ টাকা। হিমালয় বেষ্টিত ভূখণ্ড ও আর্থিকভাবে দূর্বল হওয়ায় জ্বালানি তেলের মূল্যে আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পায় ভুটান সরকার।

ভুটানের টাকা (নিউলট্রম) ও ভারতীয় টাকার মূল্যমান সমান। ভুটানে সর্বত্র ভারতের টাকা চলে। আর সীমান্ত এলাকায় ভুটানের টাকা দেদার চলে ভারতে। দুই দেশের টাকার মূল্যমান সমান হওয়ার কারণে যে কোনও সীমান্তবাসী ভারতীয় ভুটান ঢুকে সস্তার জ্বালানি ভরতেন। ফলে রমরমিয়ে চলত ভুটানের পেট্রোল পাম্পগুলি। করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় আর এই সস্তার পেট্রোল, ডিজেল কেনা যাচ্ছে না।

হাত কামড়াচ্ছেন ভুটান সীমান্তের লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন জনপদের বাসিন্দারা। আগে যেভাবে হুট করে ভুটানে ঢুকে জ্বালানি তেল গাড়ির ট্যাংকে ভরে চলে আসা যেত, সেটি হচ্ছে না ড্রাগন রাজার ফরমানে।

করোনাভাইরাস রুখতে ভুটান সরকার ভারত সংলগ্ন সব সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। দেশটির দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে। বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্বলগুলিতে প্রায়ই লকডাউন চালানো হচ্ছে। ভুটান স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও অবস্থায় করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ভুটান করোনা মোকাবিলায় অভূতপূর্ব সফলতা দেখিয়েছে। গত এক বছরে মৃত মাত্র একজন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গণস্বাস্থ্য কর্মসূচির বিরাট প্রয়োগ ঘটিয়ে ভুটান নজির গড়েছে। সাফল্যের এই খতিয়ানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চালিকাশক্তি ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলির সভাপতি এখন ভুটান।

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সংলগ্ন ভুটানের সীমান্তে কড়া নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডা লোটে শেরিং। সীমান্ত এলাকার মাইলের পর মাইল ঘুরে নিয়মিত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।