হপ্তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের পথে মোদী

নয়াদিল্লি: সাত-আট মাসের মধ্যেই ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রয়েছে৷ এই দুই রাজ্যে জয়…

নয়াদিল্লি: সাত-আট মাসের মধ্যেই ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রয়েছে৷ এই দুই রাজ্যে জয় পাওয়া গেরুয়া শিবিরর কাছে রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই এবার বহু প্রতীক্ষিত মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গেরুয়া শিবির সূত্র জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর এবার বড় আকারে বদল হতে পারে। আর এটাই হবে মোদীর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রদবদল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ইতিমধ্যে কিছু রাজ্যের থেকে বিজেপি নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রয়েছেন৷ তিনি দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াতকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হতে পারে। মাত্র চার মাস আগে তাকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি লোকসভার সাংসদ। নিয়মানুসারে ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।

বেশ কয়েকটি রাজ্যে কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি আছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না-হলে কমিশন উপনির্বাচন করাবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। দুই মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হলে, রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন। না হলে তাকে সরতে হবে। এই অবস্থায় তাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে উপনির্বাচন হলে এবং তাতে জিতলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতেই পারেন। রাওয়াতের সঙ্গে অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কথা হয়েছে। তারপর তিনি উত্তরাখণ্ড ফিরে গিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের অজয় ভাট বা অনিল বালুনিও কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন।

অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, বাংলায় বিজেপির শক্তি বাড়াতে মোদী নজর দিতে পারেন৷ সেই লক্ষ্যেই বাংলার বেশ কয়েকজনকে এবার তাঁর মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে৷ সেই কারণে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরে নিয়েছে মোদী-শাহ অ্যান্ড কোম্পানি৷ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের তালিকারও তৈরি করা হয়েছে, যাঁদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হবে৷ এই সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সামনে রেখে মোদী সরকারের উন্নয়মূলক কাজ করে বাংলার মানুষের মন জয় করতে চায় নয়াদিল্লি সরকার৷

অন্য দিকে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি যোগ দেওয়ার সময় তাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হতে পারে। উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন বলে যোগীর রাজ্য থেকে একাধিক মন্ত্রী নেওয়া হতে পারে। বরুণ গান্ধীসহ একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। আপনা দল নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল মন্ত্রী হতে পারেন। তার সঙ্গে আগে অমিত শাহের কথা হয়েছে। বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, নারায়ণ রানে, হরিয়ানার ভূপেন্দ্র যাদবের মতো নেতার নামও হবু মন্ত্রী হিসাবে শোনা যাচ্ছে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলও এবার মন্ত্রিসভায় আসতে পারে। তবে তিনি সংযুক্ত জনতা দলের থেকে দুইজনকে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে চান। রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পরস সম্প্রতি চিরাগ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে পুরো দলের দখল নিয়ে নিয়েছেন। চিরাগ একা হয়ে গিয়েছেন। নীতীশ চাইছেন পশুপতি মন্ত্রী হোন।

বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন আছেন। আইন অনুযায়ী, আরও ২৮ জনকে নিতে পারেন মোদী। তবে একসঙ্গে অতজনকে তিনি হয়তো নেবেন না। গত একমাস ধরে মোদী বর্তমান মন্ত্রীদের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব নিয়েছেন। তারপর রদবদল করা হচ্ছে। তাই বর্তমান মন্ত্রীদের দফতর বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।