সাহসী পদক্ষেপ: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ ইংরেজিতে

রাত কাটলেই মহালয়া (Mahalaya)। ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী (mahisasuramardini) অনুষ্ঠান নিয়ে বাঙালির প্রচুর আবেগ। সেই আবেগ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল উত্তম কুমারকেও, যিনি বাঙালির মহানায়ক। তাকেও গ্রহণ করেনি…

Mahalaya mahisasuramardini in English

রাত কাটলেই মহালয়া (Mahalaya)। ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী (mahisasuramardini) অনুষ্ঠান নিয়ে বাঙালির প্রচুর আবেগ। সেই আবেগ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল উত্তম কুমারকেও, যিনি বাঙালির মহানায়ক। তাকেও গ্রহণ করেনি বাঙালি।  সেই মহালয়ায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) বিখ্যাত চণ্ডীপাঠকেই ইংরেজিতে গত বছর অনুবাদ করে পাঠ করেন এক বাঙালি। তিনি সুপ্রিয় সেনগুপ্ত।

তিনি স্পষ্ট বলছেন , তিনি ভয় পান না। চেষ্টাটা করতে চান। জানেন একটা আবেগ কাজ করে এই মহালয়াকে কেন্দ্র করে। তবুও তিনি এই মহালয় বানিয়েছেন ইংরাজিতে। এটা তাঁর সুপ্রিয়বাবুর স্বপ্ন ছিল, যা এখন বাস্তব। প্রতিবছর তিনি এই চণ্ডীপাঠকে নানা রূপে সাজান এবং আরও সুন্দর করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই কাজটা প্রথম পরিবেশন করতে তাঁকে প্রচুর গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। চেষ্টাটা ছাড়েননি।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

Mahalaya mahisasuramardini in English

তাঁর এক বন্ধু অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , “আমরা এই মহালয়াটার প্রতি একটু বেশি দুর্বল কেন তার একটা গৌড়চন্দ্রিকা করা প্রয়োজন। আমরা যখন ছোট ছিলাম এই সবে স্নাতকের ছাত্র সেই সময় আমাদের পাড়ার পুজো মণ্ডপে সুপ্রিয় দা প্রথমবার চণ্ডী পাঠ করল। মাইকে সবাই শুনলো। এমনকি বাড়ির অন্দর পর্যন্ত সেই কণ্ঠস্বর পৌছলো মাইকের দৌলতে। ফলে সারা পাড়ায় ওই পাঠ একটা সারা ফেলেছিল।

জেঠিমা, মানে সুপ্রিয়দার মা ছেলের এমন সাফল্যে আরও অনেক বড় স্বপ্ন চোখে বুনে তুলতেন। জেঠিমা বলতেন, দেখো মহালয়া সকলের জন্য। যে সব ছেলে-মেয়েরা বিদেশে চলে গিয়েছে সেখানে সংসার পেতেছে তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের মহালয়া শোনাতে চান বা সম্পর্কে তাঁদের জানাতে চান অথচ তাঁদের ছেলেমেয়েরা বাংলা বোঝেন না জানেন না, তাই মহালয়া হোক ইংরাজিতে কারণ ইংরাজি প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষা। জেঠিমা মনে করতেন যে ইংরাজিতে মহালয়া হলে বিশ্বের প্রচুর মানুষের কাছে পৌছবে মহালয়া। জেঠিমা বেঁচে থাকাকালীন সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শুরু করল সেই কাজ।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ” কিন্তু দেশটা ভারত তাই ভালো কিছুর উৎসাহ তো পাওয়া দূরস্থান বরঞ্চ কি ভাবে বিষয়টা জনসমক্ষে না এসে পড়ে তার চেষ্টা হল প্রায় তিনগুন উৎসাহে। মানে সে কপিরাইট থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন বিষয়ে। কে বাঁধা দেননি। ওই যে বললাম আজ এই বয়েসে আর ভয় পাইনা। তা যাইহোক এই মঙ্গলময়ের মঙ্গল যাত্রায় আর অমঙ্গলের ফেনা নাই তুললাম, কাজ যখন সম্পূর্ণ রূপে শেষ হল সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মানে যখন এই ইংরাজি মহালয়া জনসমক্ষে পরিবেশন করার অনুমতি পেল তখন জেঠিমা অর্থাৎ সুপ্রিয়-দার মা আর এই পৃথিবীতে নেই।

তা আমরা বিশ্বাস করি যে জেঠিমা যেখানেই থাকুন তিনি এই ইংরাজি মহালয়া দেখছেন, শুনছেন ও উপভোগ করছেন।” ইংরেজি এই মহালয়া প্রকাশ পেয়েছে ইউটিউবে ‘Karigori Kobiyal’ চ্যানেলটিতে