সাইকেল লেনের দাবিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কলকাতার সাইকেল সমাজ

শহরের ৬০% যাতায়াত ৫ কিলোমিটারের কম। আবার গোটা পৃথিবীর ৭৫% যাতায়াত এতটাই কম দূরত্বের মোটরযানের কোনো প্রয়োজনই নেই তার জন্য। কিন্তু তাও শহরে এত ব্যক্তিগত…

Kolkata cycle samaj in world stage for cycle lane

শহরের ৬০% যাতায়াত ৫ কিলোমিটারের কম। আবার গোটা পৃথিবীর ৭৫% যাতায়াত এতটাই কম দূরত্বের মোটরযানের কোনো প্রয়োজনই নেই তার জন্য। কিন্তু তাও শহরে এত ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর চালিত দু’চাকার বাড়-বাড়ন্ত ও দাপট কেন? তা নিয়েই সোচ্চার হয়েছে কলকাতা সাইকেল সমাজ (cycle samaj)।  দাবি করছে সাইকেল পথের।

তাঁরা জানাচ্ছেন, এই যে গাড়ির দৌরাত্ম্য এর কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ অবাধে ও নিরাপদে সাইকেল চালানোর পরিসর নেই শহরগুলোয়। সমস্ত অর্থব্যয় ভালোভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুবিধার জন্য। যার ফলে আরও পরিসর কমে সাইকেলের, হাঁটার, গণপরিবহনের। অথচ এর উল্টাটো হলে সুবিধা হবে বেশিরভাগ নাগরিকের।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শহরে সবার জন্য সহজে, নিরাপদে সাইকেল চালানো ও স্বচ্ছন্দে হাঁটার ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সাইকেল নেটওয়ার্ককে জুড়ে দিতে হবে। যেমন সর্বত্র সাইকেল-স্ট্যান্ড, ট্রেনে-বাসে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি। শহরের বায়দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। পথদুর্ঘটনা কমবে। মোকাবিলা করা যাবে জলবায়-পরিবর্তনের। আপামর মানুষের জীবন-যাপন, জীবিকা সুরক্ষিত হবে।’

Kolkata cycle samaj in world stage for cycle lane

তাঁরা এও স্পষ্ট বলছেন, ‘স্থানীয় অর্থনীতির মান বাড়বে। রক্ষা হবে জনস্বাস্থ্য। পৃথিবীর মোট কার্বন এমিশনের ২৭ শতাংশ তৈরি হয় পরিবহন ব্যবস্থার। শহরের সীমিত পরিসরে গাড়ির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে যা ক্রমশ বাড়ছে দ্রুত হারে। এই অবস্থায় ছোটো দূরত্বের যাতায়াতগুলোর কিছুটাও যদি ফাসিল ফুয়েল-চালিত গাড়ির বদলে – সাইকেল বা হাঁটার মাধ্যমে করা যায় – তাহলেই বদলে যেতে পারে আমাদের শহর ও পৃথিবী।’

সম্প্রতি মিশরের দক্ষিণপ্রান্তে শার্ম-আল-শেখ শহরে বসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে বলা এই আবেদনগুলি জানানো হল পৃথিবীর সমস্ত দেশের সরকার ও প্রশাসনের কাছে। সম্মিলিত চিঠিতে স্বাক্ষর রাখলেন সারা পৃথিবীর চারশোটি নাগরিক সংগঠন।

UN Environment Programme, World Cycling Alliance, ITDP, WRI, BYCS ইত্যাদি সংস্থা ছিলেন মূল উদ্যোক্তা। পাশাপাশি এবারও তালিকায় নাম থাকলো কলকাতা সাইকেল সমাজের। গত বছরের মতো এবছরও। সাইকেল সমাজ বলছে, ‘শুধুমাত্র তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের কাছেই নয়। এই দাবিগুলো পৌঁছে যাক আমাদের স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাদের কাছেও।’