Shilpy Gargmukh: ভারতীয় যুবাদের আইকন প্রথম প্রাদেশিক মহিলা আর্মি অফিসার

ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে শিল্পী গর্গমুখের (Shilpy Gargmukh) নাম। ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রথম মহিলা অফিসার তিনি। বর্তমানে যুব সমাজের কাছে এক আইকন।  ৫ অক্টোবর,…

Shilpy Gargmukh

ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে শিল্পী গর্গমুখের (Shilpy Gargmukh) নাম। ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রথম মহিলা অফিসার তিনি। বর্তমানে যুব সমাজের কাছে এক আইকন। 

৫ অক্টোবর, ২০১৬ ভারতীয়দের জন্য স্মরণীয় এক দিন। এই তারিখেই শিল্পী গর্গমুখকে দেওয়া হয়েছিল আর্মি অফিসারের মর্যাদা। সেনার উর্দি গায়ে মহিলারাও পারেন, প্রথম দেখিয়েছিলেন তিনি। খুলে দিয়েছিলেন বহু বছরের ধুলো পড়া আগল। সমাজের অন্যান্য পেশার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়ার স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলেন ভারতের কন্যারা।

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শিল্পী গর্গমুখ প্রযুক্তিবিদ্যায় ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন ধানবাদের বিরসা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে। ওএনজিসি’র (তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিযুক্ত। অফিসার হওয়ার সময় ছিলেন ওএনজিসি’র আখলেশ্বর শাখায়। আর্মি অফিসার হওয়ার পিছনে ওএনজিসি’র ভূমিকা অনস্বীকার্য, শিল্পী নিজের মুখেই বলেছেন এই কথা।

শিল্পীর বাবাও একজন ইঞ্জিনিয়ার, মা আইনজীবী। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে ২৭ বছর বয়সী শিল্পীর সম্পর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। তাঁর দুই ভাই-ই রয়েছেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে। একজন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর এবং অন্যজন পাইলট। ভাইদের গায়ে সেনার উর্দি, জলপাই সবুজ রঙ উদ্বুদ্ধ করতে শিল্পীকে। ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্বেও তাঁর মধ্যে জন্মেছিল দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ। শুনতে পেয়েছিলেন দেশ মাতৃকার ডাক। একজন আর্মি অফিসার হিসেবে জন্মভূমির সেবা করতে পেরে তিনি গর্বিত।

ইন্ডিয়ান টেরিটোরিয়াল আর্মি ভারতের সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স। দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা যেমন- দাঙ্গা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য এই বিশেষ বাহিনী। প্রায় ২ লক্ষ জওয়ান বিশিষ্ট আর্মির এই বিভাগ দেশ পরিচালনা, প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

২০১৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, এখন থেকে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে মহিলারাও যোগ দিতে পারবেন। মহিলা অফিসারদের সম্মানসূচক কমিশনের জন্যও বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। টেরিটোরিয়াল আর্মিতে মহিলাদের নিয়োগ প্রসঙ্গে দায়ের হওয়া একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছিল বৈপ্লবিক পদক্ষেপটি। এরপরেই ওএনজিসি দিল্লির জীবন ভারতী ভবনে ইতিহাস গড়েন শিল্পী গর্গমুখ।