ভারতের রেল স্টেশন। এখানে প্রবেশ করতে গেলে ভারতীয়দের পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেল নেটওয়ার্ক গুলির মধ্যে ভারতের নাম করতেই হয়। এ দেশের তাজমহল সম্পর্কে অনেকের জানা থাকলেও সুবিস্তৃত রেল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। সুবিস্তৃত রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি রেল স্টেশন রয়েছে, যেখানে নামতে গেলে পাসপোর্টের মতো দরকারি নথির প্রয়োজন পড়ে। এই স্টেশনটি পাঞ্জাবের আটারি সমসিং রেলওয়ে স্টেশন (Attari Station) নামে পরিচিত। অমৃতসর জেলার মধ্যে পড়ে স্টেশনটি।
সাধারণ নিয়মানুযায়ী, দেশের কোনো স্থানে ভ্রমণের জন্য ভারতীয় নাগরিকদের কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়না।আটারি স্টেশনে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা। স্টেশনটি ভারতীয় রেলের ফিরোজপুর ডিভিশনের আওতায় পড়ে। আটারি হয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানের ওয়াঘার মধ্য দিয়ে লাহোর পর্যন্ত ট্রেন যাতায়াত করে। পাকিস্তানের সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়াতে স্টেশনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
আটারি রেলওয়ে স্টেশনটি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। তাই সামরিক বিভাগ সর্বদাই এখানে নজরে রাখেন। স্টেশনে প্রবেশ করা যাত্রীকে একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়। নিরাপত্তা জোরদার করতে এই রেলে ভ্রমণ করা যাত্রীকে সবসময়ই ডকুমেন্ট সাথে রাখতে হয়। যদি কোনো নাগরিক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট না নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ও করতে পারেন।
এই যাত্রাপথে কোনো কুলি রাখা হয়নি। তাই নিজেদের ব্যাগ নিজেকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। প্রসঙ্গত, অমৃতসর লাহোর লাইনে আটারি ভারতের সর্বশেষ স্টেশন। ভারত পাকিস্তানের মধ্যের সমঝোতা এক্সপ্রেসকে আটারির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করানো হয়।
১৯৭১ সালে দুই দেশের যুদ্ধের পর সমঝোতার স্মারক হিসেবে ১৯৭৬ সালে ২২ জুলাই সিমলা চুক্তির আওতায় এই ট্রেন চালানো হয়। সমঝোতা এক্সপ্রেস প্রতি বৃহস্পতিবার ও সোমবার ভারতের দিল্লি আটারি ও পাকিস্তানের লাহোরের মধ্যে চলাচল করত। থর এক্সপ্রেস পুনরায় চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত ওটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে একমাত্র রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।