Saturday, December 6, 2025
HomeOffbeat NewsJoy Mangal Pandey: দেশের জন্য প্রাণ দিয়েও বিস্মৃত এই মঙ্গল পাণ্ডে

Joy Mangal Pandey: দেশের জন্য প্রাণ দিয়েও বিস্মৃত এই মঙ্গল পাণ্ডে

- Advertisement -

বিশেষ প্রতিবেদন: একই নামের দুই মহান বীর শহীদ। ইনিও দেশের জন্য ফাঁসি কাঠে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু ইনি বিস্মৃত বললে একটুও ভুল হবে না। ইনি জয় মঙ্গল পাণ্ডে।

Advertisements

একজন পন্ডিত মঙ্গল পাণ্ডে ও অন্যজন জয় মঙ্গল পাণ্ডে। অবশ্য পণ্ডিতের আন্দোলনই বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়েছিল জয় মঙ্গল পাণ্ডের মনে। ব্যারাকপুর বিদ্রোহের পরে দেশের নানা প্রান্তে বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিহারেও বিদ্রোহী সৈনিকরাও বিদ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠে। ১৩ জুলাই দানাপুর ছাউনিতে সৈনিকরা বিপ্লবের শঙ্ক বাজিয়ে দেন।

   

৩০ জুলাই রামগড় সৈনিকরা অস্ত্র তুলে নেন। ভারত মাতাকে ইংরেজদের শিকল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তৈরি হতে লাগেন। কিন্তু অপেক্ষার সময়। সুবেদার জয় মঙ্গল পাণ্ডে সেই সময় রামগড় ছাউনিতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার সঙ্গী নাদির আলীকে তৈরি করেছিলেন। পরে তারা ১৫০ সৈনিক তৈরি করে রাঁচির দিকে কিছু করার জন্য বেরিয়ে পড়েন। মহান বীর শহীদ বাবু কুনওয়ার সিং ইংরেজদের কাছ থেকে লোহা আদায় করেছিল। এই অবস্থায় তাকে জীবিত দেখে, বিদ্রোহীরা তাকে নেতার আসনে বসলেন। জয় মঙ্গল পাণ্ডে ও নাদির আলীও তার দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন। 

য় মঙ্গল পাণ্ডে ও নাদির আলী তারা সৈনিকদের নিয়ে জগদিশপুরের দিকে রওনা দেয়। তারিখটি ছিল ১১সেপ্টেম্বর ১৮৫৭ সাল। তারা বালুমাথ দিয়ে চরতা পৌঁছান। সেই সময় সেখানকার ডিউটি কমিশনার ছিলেন সিম্পসন। তার কাছে খবর পৌঁছায় যে জয় মঙ্গল পাণ্ডে ও নাদির আলী বাকি সৈনিকদের নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন। ওই সময় ইংরেজ অধিকারীদের বাবু কুনওয়ার সিং তাদের আরাম হারাম করে দিয়েছে। তিনি ভাবলেন তাদের যদি এখন বন্দি করা না যায়, তাহলে পরে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। অতপর: তিনি মেজর হংগলিশ এর নেতৃত্বে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দেন।

ইংরেজরা প্রায় ৪০০ সৈনিকের কাছাকাছি সৈন্য পাঠিয়ে দেয়। তাদের কাছে ছিল আধুনিক অস্ত্র। এদিকে জয় মঙ্গল পাণ্ডে ও নাদির আলীর কাছে খবর পৌঁছায় যে, হংগলিশ একদল সৈন্য নিয়ে তাদের পিছনে পিছনে ধাওয়া করছে। অতপর: তারা চরতার পশ্চিমী দিকে সৈন্য পাহাড়ায় বসিয়ে দেন। সেদিন ২ অক্টোবর ১৮৫৭ সাল। অনেক দেরি করেই ইংরেজ সৈন্য পৌঁছায় সেখানে। জয় মঙ্গল পাণ্ডে এর নির্দেশ অনুসারে সব সৈনিকরা ভারত মাতাকে ইংরেজদের শিকল থেকে মুক্ত করার জন্য মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করতে রাজি ছিলেন। কিন্তু তাঁরা সংখ্যা কম ছিলেন ও অস্ত্র শস্ত্রও তুলনায় অনেক কম ছিল।

এই নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় প্রবল সংঘর্ষ। দিনভর চলে জয় মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে ওই অসম লড়াই। তাতেও বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়ে ৫৮ জন ইংরেজ সৈন্য, হংগলিশকে সেখানকার একটি কুয়োয় অস্ত্র সহ ফেলে দেয় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু বেশি ক্ষতি হয় ভারতীয় সৈনিকদেরই। অধিকাংশ সৈনিকই শহিদ হন যুদ্ধক্ষেত্রে। ৩ রা অক্টোবর জয় মঙ্গল পাণ্ডে ও নাদির আলীকে ধরা পড়ে যান ইংরেজদের হাতে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে ১৮৫৭ সালের ৪ অক্টোবর আজকের দিনে আম গাছে এই দুই বীর সৈনিককে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়।

Advertisements
- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular