পর্ণগ্রাফির রঙিন জগৎ ছেড়ে সাধারণ জীবিকায় সফল পাঁচ নীল-তারকা

ইন্টারনেটের আবির্ভাব ডিভিডির গণ্ডি পেরিয়ে পর্ণগ্রাফি এখন সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের নেশাতুর করে রেখেছে গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে। যদিও পর্ণগ্রাফি ওয়েব দুনিয়ায় দর্শককে এক রঙিন মায়াজালে বাঁধতে পারে অনায়াসেই

5 Adult Film Stars Who Went Mainstream

বায়োস্কোপ ডেস্ক: ইন্টারনেটের আবির্ভাব ডিভিডির গণ্ডি পেরিয়ে পর্ণগ্রাফি এখন সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের নেশাতুর করে রেখেছে গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে। যদিও পর্ণগ্রাফি ওয়েব দুনিয়ায় দর্শককে এক রঙিন মায়াজালে বাঁধতে পারে অনায়াসেই, তবু পর্নস্টারদের জীবিকা ও জীবনকে ঘিরে মানুষের মনে জমে আছে চাপা কলঙ্কবোধ আর ঘৃনা।

আজকাল, মানুষের জন্য তাদের জীবদ্দশায় তাদের কর্মজীবন পরিবর্তন করা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। পর্ণ শিল্পের ক্রিয়া কুশলীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই। বিশ্বজুড়ে এমন পর্ণ শিল্পীর অভাব নেই যারা এই রঙিন জগতে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরেও, জীবনের একটি পর্যায়ে এসে পেশার দিক পরিবর্তনের পথ বেছে নিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু মহিলাদের গল্প, যারা তাদের প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছেন এবং বিপুল সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন একটি ভিন্ন পেশা বেছে নেওয়ার জন্য।

Mia-Khalifa

১. মিয়া খলিফা
লেবাননের বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী কয়েক বছর আগে পর্নহাব সহ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে সবচেয়ে পর্নস্টার হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শিল্পের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ার পর নাটকীয়ভাবে তিনি পর্ণগ্রাফি ছেড়ে চলে যান। খ্রিস্টান হিসেবে বেড়ে ওঠা মিয়া, তার ভিডিওর বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার পর আইএসআইএস এবং অন্যান্য ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের কাছ থেকে মৃত্যুর হুমকি পেতে থাকেন। এর পরেই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মিয়া বলে জানা যায়। তারপর থেকে, মিয়া একজন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারের পদে নিযুক্ত হন কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন যে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর তার পক্ষে ‘স্বাভাবিক’ চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।

Eva-Angelina

২. ইভা এঞ্জেলিনা
পুরস্কার প্রাপ্ত আমেরিকান পর্ণ শিল্পী ইভা মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পদার্পণ করেন। ২০১৯ সালে তিনি হঠাৎই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গ ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সাথে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিযুক্ত হন।

Britney-de-la-Mora

৩. ব্রিটনি ডেলা মোরা
ব্রিটনি সাত বছর ধরে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন এবং তার পর্ণগ্রাফির ক্যারিয়ারের শীর্ষে প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার আয় করেছেন বলে অনুমান করা হয়। নাটকীয় ভাবে ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়ার পর তিনি ও তার স্বামী একটি চার্চের মিনিস্টারের পদে নিযুক্ত হন।

Tiffany-Milan

৪. টিফানি মিলান
পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের আগে ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে গর্জিয়াস লেডিস অফ রেসলিং (GLOW) এর সদস্য হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন টিফানি। তিনি দুই বছরের ব্যবধানে ১০০ টিরও বেশি কামোত্তেজক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এমনকি তার নিজস্ব চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থাও চালু করেছেন, যা একটি নারীবাদী তির্যকতার সাথে প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিগত তদন্তকারী হিসেবে নিজের পেশা বেছে নিয়েছেন।

Mary-Carey

৫. মেরি ক্যারে
মেরি প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র জগতে একটি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তবে ২০০৭ সালে তিনি পর্ণগ্রাফির দুনিয়া ছেড়ে জীবনের নতুন দিশা সন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ এর শুরুর দিকে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে মেরি জানান যে তিনি বক্সিংয়ের জগতে পদার্পণ করতে চান।