Bangladesh: আজব চাচার হোটেলে তিন বাটি ভাত খেলেই একটা নতুন প্যান্টের টাকা পুরষ্কার

১৮০ টাকায় পেট ভর্তি খাবার। একাই ৩ বাটি ভাত খেতে পারলেই মিলবে পুরস্কার। সেই সঙ্গে ফেরত দেওয়া হবে খাবারের টাকা। এমন এক আজব হোটেল আছে…

১৮০ টাকায় পেট ভর্তি খাবার। একাই ৩ বাটি ভাত খেতে পারলেই মিলবে পুরস্কার। সেই সঙ্গে ফেরত দেওয়া হবে খাবারের টাকা। এমন এক আজব হোটেল আছে বাংলাদেশে। রান্না লা জবাব। রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে বেচা-বিক্রী। দূরদুরান্ত থেকে কেউ গেলে তার জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয় দই-মিষ্টি।

৩ বাটি ভাত একসঙ্গে খেতে পারলে টাকা তো দিতেই হবেনা, বরং পুরস্কার হিসেবে থাকছে এক গ্লাস দুধ, এক কাপ দই, একটি কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং প্যান্টের কাপড়ের জন্য ৮৫০ টাকা। খাবার খেয়ে এমন ব্যতিক্রম পুরস্কার মিলবে ‘চাচার হোটেলে’। মকবুল চাচার এই হোটেল বাংলাদেশের রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চৌধুরাণী বক্সি বাজারে। পেট-চুক্তি খাবারের জন্য বিখ্যাত তার এই খাবারের হোটেল। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ভোজনরসিকরা খেতে আসেন বাংলাদেশের রংপুরের পীরগাছায় ‘চাচা হোটেলে।‘ মুখোরচক খাবারের সঙ্গে চাচার আতিথেয়তায় মুগ্ধ দূরদুরান্তের ক্রেতারা। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের খাবার পরিবেশন করা হয় চাচার হোটেলে।

   

এই হোটেলে ১৮০ টাকার মেনুতে খাওয়া যাবে মাংস, ১২ ধরনের ভর্তা, মাছ ভাজা, সবজি, ডাল, ডিম আর আচার। ৩ বাটি ভাত একাই খেতে পারলে থাকছে পুরস্কার। তবে সব খাবার খেতে না পারলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, দিতে হবে শুধু নির্ধারিত খাবারের দাম। চাচার হোটেলের সুস্বাদু খাবার খেতে তাই ভিড় লেগেই থাকে। যারা চাচার হোটেলে খেতে এসেছেন তাদের প্রত্যেকেই ১২ ধরনের ভর্তার খুব সুখ্যাতি করেছেন। শুধু খাবার নয়, ‘চাচার’ আন্তরিকতারও প্রশংসা করেছেন প্রত্যেকেই। দ্রব্যমূল্যের বাজারে বেশ অল্প দামেই ভাল মানের খাবার চাচা সরবরাহ করেন বলেই মনে করছেন হোটেলে খেতে আসা ব্যক্তিরা।

২৬ বছর ধরে এভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মহম্মদ মকবুল চাচা। তার দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এবং বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী মিলে হোটেলটি পরিচালনা করেন। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে চাচা জানান, “এখানে যে ভাত বেচব ১৮০ টাকা পোষায় না। তরিতরকারীরও দাম প্রচুর। কিছুই হয়না। তারপরেও খাওয়াই আমি। এইভাবে চলে দিন…আমি খাই, ওনারাও খান। মাংস, ডিম, পাট শাক, পটল ভাজা, মাছের ভর্তা, আলুর ভর্তা, শুটকির ভর্তা, বাদাম ভর্তা, কালো জিরের ভর্তা,ভেন্ডি ভাজা, বুটের ডাল, টমেটোর সস, আচার…এভাবে ১৬ পদের খাবার আসে। যে তিন বাটি ভাত খাবে তাকে আর টাকা দিতে হবেনা। ওনার জন্য আবারও ফ্রি। এক গ্লাস দুধ, একটা দই, একটা টাইগার (কোল্ড ড্রিক্স), একটা প্যান্টের টাকা, এটাও ফ্রি, ভাতও ফ্রি। “