কার্গিল বিজয় দিবসের ২২ বছর

নিউজ ডেস্ক: সোমবার কার্গিল বিজয় দিবস । সোমবার থেকে ২২ বছর আগে এই দিনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় হাসিল করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। ১৯৯৯ সালে কার্গিল…

নিউজ ডেস্ক: সোমবার কার্গিল বিজয় দিবস । সোমবার থেকে ২২ বছর আগে এই দিনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় হাসিল করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় যে সমস্ত ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের শ্রদ্ধা।

১৯৯৯ সালে যখন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের আউটপোস্টগুলি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান তখনই ওই যুদ্ধ বাধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই যুদ্ধ প্রক্রিয়াকেই নাম দেওয়া হয় “অপারেশন বিজয়”।

১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘটিত একটি সশস্ত্র সংঘর্ষ। পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এই যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে।যুদ্ধ চলাকালীন ও যুদ্ধের অব্যবহিত পরে পাকিস্তান এই যুদ্ধের দায় সম্পূর্ণত কাশ্মীরি স্বাধীনতাপন্থী জঙ্গিদের উপর চাপিয়ে দেয়। তবে যুদ্ধের পর ফেলে যাওয়া তথ্যপ্রমাণ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের পরবর্তীকালের বিবৃতি থেকে স্পষ্টতই জানা যায় যে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীও এই যুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনারেল আশরাফ রাশিদ।ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি ফৌজকে আক্রমণ করে। পরে সেনাবাহিনীকে সহায়তা দান করে ভারতীয় বিমানবাহিনীও। অবশেষে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমর্থনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানকে ফৌজ প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়।

১৯৯৯ সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আপাতদৃষ্টিতে বিরাট প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়।  পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পাশাপাশি প্রতিকূল ভূখণ্ড, আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝে এবং শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কটিকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে সফলভাবে পুনরুদ্ধার করেছিল এ দেশের সেনা।