বন্যায় ডুবল বাংলা, কালী কৃপায় স্বমহিমায় রইল মাটির মন্দির

Special Correspondent, Kolkata: গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের হারোপ গ্রামের ঘোষালবাড়ি বর্ধিষ্ণু পরিবার হিসাবেই স্থানীয় এলাকায় পরিচিত। ঘোষাল বাড়ির ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো ইতিমধ্যেই দেড়শ বছরের গন্ডী অতিক্রম করেছে।…

kalipuja-howrah

Special Correspondent, Kolkata: গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের হারোপ গ্রামের ঘোষালবাড়ি বর্ধিষ্ণু পরিবার হিসাবেই স্থানীয় এলাকায় পরিচিত। ঘোষাল বাড়ির ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো ইতিমধ্যেই দেড়শ বছরের গন্ডী অতিক্রম করেছে। কিন্তু পুজোর আয়োজন বা জৌলুসে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।

এ পুজোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইতিহাস। জড়িয়ে আছে কতশত স্মৃতি। হরিপদ ঘোষাল, হৃষিকেশ ঘোষাল, পরেশ ঘোষাল, নরেশ ঘোষালদের হাত ধরে ঘোষাল বাড়িতে শুরু হয়েছিল মাতৃ আরাধনা। তারপর মাঝে কেটে গিয়েছে বহু বছর। কালের নিয়মে এখন পুজোর হাল ধরেছেন অনিল, গোঁরাচাঁদ, তপন, দিলীপরা। কিন্তু রীতিনীতিতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ঘোষাল বাড়িতে বসে কথা হচ্ছিল তপন ঘোষালের সাথে। তিনি বললেন, মায়ের কী অপার মহিমা।

kalipuja-howrah

১৯৭৮ সালে বাংলাজুড়ে যখন ভয়াবহ বন্যা দেখা দিল তখন আমাদের মাটির মাতৃমন্দির। হাজার মাটির ঘর বন্যার জলে তলিয়ে গেলেও আমাদের মাটির মন্দির অক্ষত থাকল। যদিও পরবর্তী সময়ে মাটির মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়েছে ইটের তৈরি পাকা মন্দির৷ আজও প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন প্রথা। তিনি আরও জানালেন, একসময় পুজো উপলক্ষ্যে বাড়িতে যাত্রাপালার আসর বসত। দাগানো হত কামানো। সময়ের সাথে সাথে সেসব বন্ধ হলেও আজও নিয়ম মেনে কালীপুজোয় বলি প্রথা চালু রয়েছে ঘোষাল বাড়িতে।

জানা গেছে, কর্মসূত্রে ও বিবাহসূত্রে বাড়ির অনেক ছেলেমেয়েরাই এখন অনেকেই বাইরে থাকেন। তবে কালীপুজো উপলক্ষ্যে সকলেই সব কাজ ফেলে রেখে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন। এই ঐতিহ্যবাহী ও সার্ধশতবর্ষ অতিক্রান্ত কালীপুজোকে কেন্দ্র করে সবার উপস্থিতিতে পুজোর ক’টা দিন কার্যত মিলনক্ষেত্রের চেহারা নেয় হারোপ গ্রামের ঘোষাল বাড়ি। এবারও তার অন্যথা হবে না। আর কয়েকটা দিন বাদেই মা’য়ের আরাধনা। তাই ঘোষাল বাড়িজুড়ে এখন সাজো সাজো রব।