Baba Mahakal: বাবা মহাকাল দেশে প্রথম হোলি খেলেন, ভক্তিরসের রঙে সিক্ত ভক্তরা

দেশে প্রথম হোলি উদযাপিত হয় উজ্জয়িনে অবস্থিত বাবা মহাকালের (Baba Mahakal) প্রাঙ্গণে। প্রথা অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতিতে বাবাকে আবির ও গুলাল নিবেদন করা হয়।

Ujjain-Based Baba Mahakal First Played Holi

দেশে প্রথম হোলি উদযাপিত হয় উজ্জয়িনে অবস্থিত বাবা মহাকালের (Baba Mahakal) প্রাঙ্গণে। প্রথা অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতিতে বাবাকে আবির ও গুলাল নিবেদন করা হয়। এরপর আরতির পর মহাকাল মন্দির প্রাঙ্গণে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে হোলিকা দহন করা হয়। পুরোহিতরা ফুলের হোলি খেলেন। মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত ভক্তরাও প্রচুর গুলাল খেলেন।

মহাকাল মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত আশিস গুরু জানান, শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরের ঐতিহ্য ও পঞ্জিকা অনুসারে সন্ধ্যার আরতিতে বাবা শ্রী মহাকালকে ফুল ও চিনির মালা অর্পণ করা হয়। সরকারি পুরোহিত ঘনশ্যাম গুরু ও অন্যান্য পুরোহিতরা হোলিকার পূজা করেন। এরপর শ্রী মহাকাল মন্দির প্রাঙ্গণে হোলিকা দহন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মার্চ মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে ধুলেনদি উদযাপিত হবে।  মন্দিরের প্রশাসক সন্দীপ সোনি জানান, ৭ মার্চ সকালে ভস্ম আরতিতে বাবা মহাকালকে ফুলের তৈরি গুলাল নিবেদন করা হবে।

সকালে চতুর্দশী এবং সন্ধ্যায় পূর্ণিমা তিথি
সোমবার বিশ্ব বিখ্যাত জ্যোতির্লিঙ্গ মহাকাল মন্দিরে প্রদোষকালে প্রথমবারের মতো হোলিকা দহন অনুষ্ঠিত হয়। পন্ডিত মহেশ পূজারি জানান, প্রদোষে ফাল্গুন পূর্ণিমায় হোলিকার পূজা করার নিয়ম আছে। পঞ্চাঙ্গের হিসাব অনুযায়ী, ৬ মার্চ সোমবার সকালে চতুর্দশী এবং সন্ধ্যায় প্রদোষে পূর্ণিমা তিথি থাকায় মহাকাল মন্দিরে হোলিকা পুজো ও দহন করা হয়। সন্ধ্যা আরতির পর পুরোহিত, পুরোহিত পরিবারের মহিলারা হোলিকার পূজা করেন। এর পর হোলিকাকে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে দহন করা হয়।

‘ভগবানের সঙ্গে হোলি খেলে কষ্ট দূর হয়’
মহাকালেশ্বর মন্দিরের বালা গুরু অভিষেক শর্মা জানান, হোলি উৎসব প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এই উৎসবে পূজা করার জন্যও রয়েছে বিশেষ আইন। হোলি উৎসবে ভক্তরা ভগবানের রঙে রঙিন হয়ে যদি সত্যিকারের চিত্তে ভগবানের সঙ্গে হোলি খেলে, তাহলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, শাস্ত্রে বিভিন্ন রংকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর লাখ লাখ ভক্ত ভগবান মহাকালের দরবারে হোলি খেলতে আসেন। হোলি উৎসবে প্রতিদিন ঈশ্বরকে গুলাল নিবেদন করা হয়। তিনি বলেন, মহাকালের দরবারে হোলি উৎসবে বিশেষ ধরনের পূজা দুঃখ, দারিদ্র ও দুর্দশা নাশ করে। এ ছাড়া আদালতের মামলা, পারিবারিক কলহ ও আর্থিক সমস্যাও দূর হতে পারে।