আজও মধ্যযুগের কথা কয় ভগ্নপ্রায় ‘সুরাটেশ্বর শিব মন্দির’

সুপুরের প্রধান আকর্ষণ এখানকার জোড়া মন্দির। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে টেরাকোটার নকশা বাংলার অতিপরিচিত শিল্পসত্তাকে মনে করায়। মন্দিরের সামনের দিকে দেবী দুর্গা তার পরিবার সহ বিরাজমান।…

murudeshwar-shiva-temple-story

সুপুরের প্রধান আকর্ষণ এখানকার জোড়া মন্দির। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে টেরাকোটার নকশা বাংলার অতিপরিচিত শিল্পসত্তাকে মনে করায়। মন্দিরের সামনের দিকে দেবী দুর্গা তার পরিবার সহ বিরাজমান। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানেই মন্দিরটি সংরক্ষিত। তবে মন্দিরের বহু অংশেই ভগ্ন দশা চোখে পড়ার মতো।

গ্রামের সবথেকে প্রাচীন সুরাটেশ্বর শিব মন্দির। মূল মন্দিরের অংশ নেই বললেই চলে। তবে কিছু ভাঙা স্তম্ভ ও বিগ্রহ আশে পাশে ছড়িয়ে রয়েছে। গ্রামের আরও ভিতরে যেতে যেতে কাঁচা রাস্তার দু’পাশে অবস্থান করছে বেশ কয়েকটি ভাঙা মন্দির।

Shiva Temple

মন্দিরে রয়েছে বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা। বহু দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দের জন্য সোমবার বিশেষ আয়োজন করা হয়। ভোগদানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায় করোনা অতিমারীর প্রকোপের আগে সেখানে ভোগ পাওয়ার আশায় প্রায় ৬০০-৮০০ কাছাকাছি মানুষ হাজির হতেন। বর্তমানে প্রায় ৫০-১০০ মানুষের হাতে ভোগ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ভোগের মেনুতে আছে, খিচুড়ি , তরকারি আর ঠাকুরের স্পেশাল ‘ননি’।

বাংলার আনাচে কানাচে এভাবেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন ও মধ্যযুগের স্থাপত্য-ভাস্কর্যের নিদর্শন। যেগুলির অধিকাংশই রয়েছে লোক চক্ষুর আড়ালে এবং উপেক্ষিত।