পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও রথযাত্রার ইতিহাস

সুশ্রী রূপদানের ব্যর্থ চেষ্টা। তাই বিগ্রহকে দেখে মনে হয়েছিল কিম্ভুতকিমাকার! তাতে নির্দিষ্ট কোন রূপ ছিলনা। ছিলো শুধুমাত্র রূপের আভাষ মাত্র। এই তিন মূর্তিকে সৎ-চিৎ-ও আনন্দের…

সুশ্রী রূপদানের ব্যর্থ চেষ্টা। তাই বিগ্রহকে দেখে মনে হয়েছিল কিম্ভুতকিমাকার! তাতে নির্দিষ্ট কোন রূপ ছিলনা। ছিলো শুধুমাত্র রূপের আভাষ মাত্র। এই তিন মূর্তিকে সৎ-চিৎ-ও আনন্দের প্রতীক বলা যায়। কৃষ্ণ বর্ণ জগন্নাথ মূর্তির ভাব যেন সৎ; মন্দিরের যে কোনো অংশ থেকেই সবার নয়ন গোচর হয়। চিৎ কে ধরা সাধন সাপেক্ষ। অপেক্ষাকৃত ছোট মূর্তি। শুভ্র বর্ণ বলরাম যেন চিৎ বা জ্ঞানের প্রতীক। সচ্চিদানন্দের আনন্দ রূপ ছোট বিগ্রহ সুভদ্রা। জগন্নাথ- বলভদ্র ও সুভদ্রা যেন বিগ্রহধারি সচ্চিদানন্দ।

রথযাত্রায় (Puri Rath Yatra) পুরীর বর্ণাঢ্য রথযাত্রা উৎসব ভক্তবৃন্দের মনকে খুশিতে ভরিয়ে তোলে। বর্তমান নীলাচল ক্ষেত্রে রথযাত্রার যে রূপ ফুটে ওঠে সেই ক্ষেত্রের রূপাকার স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু। শ্রী মন্দির থেকে শ্রী জগন্নাথের পরিভ্রমণ স্থানান্তর আবার কিছুকাল সেই স্থানে অবস্থান তারপর পুনরায় আবার আগের স্থানে ফিরে আসা এই হলো রথযাত্রার (Puri Rath Yatra) ব্যাপার।

   

রহস্যময় রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার সানডে সাসপেন্স! পুরীর মন্দিরে এবার হাজির সাপুড়েরাও?

সংসার চক্রে বিচারণ করে জগন্নাথ পরিশ্রান্ত হয়ে কিছুকাল মাসির বাড়ি’ অবস্থান করে আবার স্বধামে ফিরে আসেন। নিজ নিকেতনে পৌঁছানোর জন্যই জগন্নাথ প্রভুর এই সংসার যাত্রা। আবার জ্ঞানের উদয়ে তিনি সংসার পরিক্রমণ সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন। জগন্নাথের রথযাত্রার এই তাত্ত্বিক চিত্রকে আমাদের পুরানকাররা নাটকীয় মাধুর্যে ও রঙ্গে খুবই বর্ণাঢ্য করে রেখেছেন ।

তাই সাধারণের চোখে এই  ঘটনাগুলি প্রাধান্য লাভ করেছে। ইতিহাসের পৃষ্ঠাতে ও এই পুরীর রথ বড় কম উজ্জ্বল নয়। শ্রীকৃষ্ণ, চৈতন্য এই সূক্ষ্ম গভীর তত্ত্বকে জন মানসে প্রাণবন্ত করে রেখেছেন। তীর্থকে জাগানো যে তাঁরই কর্মের অঙ্গ তা বোঝার অভাব রাখে না। গত পাঁচশত বছরে পুরীর তথা রথ উৎসবের (Puri Rath Yatra) যা কিছু ভাব মাহাত্ম্য সবটাই চৈতন্যদেবের লোকোত্তর অবদান বলাযায়।