Magazine: অহ নওরোজের তিনটি সনেট

কেন নেই ঘরগুলো দ্বিধায় জড়ানো দিনে সাদা অনুপলে দূরে কোলাহলে কোনো শব্দের ভেতর নিজেকে নিকিয়ে রেখে গাঢ় বেখেয়ালে যখন গহিন ভাবি, ঘর বলি কাকে? জানালার…

aho_bangladesh

কেন নেই ঘরগুলো

দ্বিধায় জড়ানো দিনে সাদা অনুপলে
দূরে কোলাহলে কোনো শব্দের ভেতর
নিজেকে নিকিয়ে রেখে গাঢ় বেখেয়ালে
যখন গহিন ভাবি, ঘর বলি কাকে?

জানালার ফাঁক গলে দ্রুত ঢুকে পড়া
বাতাসের মতো করোটিতে যখনই
মিহি পথ করে করে সোনেলা স্মৃতিরা
ফণা উঁচু করে; তখন গহিন দেখি—

সারিবাঁধা গাছদের শাঁসালো পা-গুলো
মৃত হয়ে গেলে উড়ে যায় পাখিসব—
কখনো আকাশে মিনা করা কোনো দৃশ্যে
অথবা একাকী কোনো সাগরের পাশে।

যেন ঘর বদলায় ছায়াদের মতো
অথবা তেমন কিছু নেই সুবাসিত!

জলো রাত কাছে এলে

হেমন্তের জলো দিন দ্রুত বয়ে গিয়ে
প্রায়ন্ধকারে সন্ধ্যার দেহে অসময়ে
বিজলী পালানো কোনো ঘরোয়া স্বভাবে
যখনই ডুকরানো কোনো শিখা আনে—
কিংবা সবকিছু উড়ে যাওয়ার মতো
শব্দে যখনই অশোকফোটা হাওয়া,
গাছদের দেহ থেকে প্রকাশিত সব
রোদের বিন্যাসে আন্তরিক জল রাখে—

মনে হয় শুধু যেন মা অথবা মামি
এক গাল দুধমাখা ভাত হাতে করে
অনুগামী হয়ে আছে; আর চারপাশে,
পথের বাতাসে শিশিরের মতো করে
অলিক লায়লা গলে যাচ্ছে অনুপম—
আমরা কেবল মুহূর্তের কাছে বন্দি—

দু’রকম পথে

নিভু বিকেলের পাশে পাখিভরা কোনো
কাপালিক হাওয়ার ফুলময় বনে
পশমে রোদের ওম সুনিপুণ ভরে
যারা গাঢ় ছল করে সজাগ শরীরে—

আর যারা নেমে চলা আয়ুরেখা ধরে
দূরে বনগ্রাম ফেলে, কণ্ঠে সব ক্ষত
জমা করে করে দীর্ঘ অনিদ্রার রাতে
আচমকা ছল করে গোপনে গোপনে—

তাদের ভেতরে ঝুলে থাকা যত রোদ;
যত জল কাঁপে সাপহীন অবসরে,
পরিহাসপ্রিয় যত ঘন মেঘ ওড়ে
সেসবের রঙ অনেক রকম স্বরে
কতটা পিছল পথে যাতায়াত করে
চোখের ঝরোখা খুললেই দেখা যাবে।