বাংলাদেশের কমলা ক্ষীরের নকশি পিঠে পশ্চিমবঙ্গবাসী তেমন জানেই না, বানিয়ে নিন

পৌষ মাস মানেই ঘরে ঘরে পিঠেপুলি। রকমারি পিঠে সকলের ঘরেই বানানো হয়। বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জের বেশ কিছু লোভনীয় পিঠে রয়েছে যা সচরাচর ভারতের রান্না ঘরে দেখা…

Khirer Pithe

পৌষ মাস মানেই ঘরে ঘরে পিঠেপুলি। রকমারি পিঠে সকলের ঘরেই বানানো হয়। বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জের বেশ কিছু লোভনীয় পিঠে রয়েছে যা সচরাচর ভারতের রান্না ঘরে দেখা যায়না। সেক্ষেত্রে সবার আগে যে পিঠের নাম আসে তা হলো, কমলা ক্ষীরের নকশি পিঠে। কাঁটা তারের ওপারে ঘরে ঘরে তৈরি হয় এই পিঠে। তাই এবার ঘরে বসেই শিখে নিন এই জনপ্রিয় পিঠের রেসিপি।

এই রেসিপিটি বানাতে আপনার প্রয়োজন বেশ কয়েকটি উপকরণ। তা হল, ৩ কাপ চালের গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ নুন, ১ কাপ ময়দা, ২০০ গ্রাম গুঁড়ো চিনি, ১/২ কাপ খেজুরের গুড়, ১/২ লিটার দুধ, ১/৪ চা চামচ চিনি, ১ টা কমলালেবু, ৩ টা এলাচ, ২০০ গ্রাম রিফাইন্ড সানফ্লাওয়ার তেল, পরিমাণ মতন গরম জল, ২ কাপ নরমাল জল।

রান্নার নির্দেশ সমূহ

ধাপ ১
প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো একসঙ্গে জোগাড় করে নিন।

ধাপ ২
জলে চিনি আর গুড় মিশিয়ে একটা চাঁচনি বানিয়ে নিতে হবে। এবার নুন ময়দা চালের গুঁড়ো অল্প জল মিশিয়ে কিছু সময় ঢেকে রাখতে হবে। গরম থাকতে থাকতে মেখে একটা মন্ড তৈরি করে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যাতে শুকনো না হয়ে যায়।

ধাপ ৩
এবার একটা সমান জায়গায় তেল মাখিয়ে তার উপরেই মন্ড থেকে দুটো গোলা নিয়ে, কলকার মতন আকার দিয়ে তার মধ্যে নকশা করার পালাআঙ্গুল, ছুড়ি, আর টুথপিকের সাহায্যে। এইভাবে আরো কয়েকটা পাতা ফুল বানিয়ে নিন। এই ভাবে তৈরি করে নকশা, কড়াইতে সাদা তেল গরম করে, প্রতিটা ভেজে তুলে নিতে হবে।

ধাপ ৪
ক্ষীর কমলা বানানোর জন্য দুধ গরম করে ঘন করে তাতে গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।এবার কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের অংশটা নিয়ে ঠাণ্ডা দুধ মেশাতে হবে তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ক্ষীর কমলা।

ধাপ ৫
এবার তৈরি করে রাখা হালকা গরম চাঁচনির মধ্যে প্রতিটা নকশী পিঠা ডুবিয়ে তুলে নিতে হবে। এবার সাজানোর পালা। প্রথমে নকশা ছাড়া কলকার পিঠে নিয়ে তার উপরে ক্ষীর কমলা মালাই দিতে হবে।

ধাপ ৬
তার উপরে রাখতে হবে নকশি কলকা পিঠেটা।

ধাপ ৭
এবার তৈরি হয়ে গেল কমলা ক্ষীরের নকশী পিঠা।