আগামী ৩০ আগস্ট রাখী পূর্ণিমা। এই বিশেষ দিনে সকল বোন, দিদিরা তাদের ভাই, দাদাদের হাতে রাখী বেঁধে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তবে এই বিশেষ দিনে যেহেতু সকাল থেকে বোন, দিদিরা তাদের ভাই দাদাদের সেবা যত্নে ব্যস্ত থাকে। তাও তাদের অ্যাপায়নের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি কি রান্না করবেন সেই বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
সকাল থেকেই শুরু হবে জমজমাটি। যে ভাইয়েরা দূরে থাকে তারা আসবে বোনদের বাড়িতে। তাই তাদের অ্যাপায়নের জন্য প্রয়োজন লোভনীয় খাবার দাবার। যা খেয়ে ভাই, দাদাদের মুখে ফুটবে হাসি। প্রথমেই আসছে সকালের খাবার। সকালে বানিয়ে নিতে পারেন হালকা কিছু খাবার। যেমন লুচি, ছোলার ডাল বা ঘুগনি, এর সঙ্গেই পাতে রাখতে পারেন আপনার ভাই বা দাদার পছন্দ সই কিছু মিষ্টি।
এরপরেই চলে আসলো দুপুরের ভুরিভোজ। আপনি যদি বাঙালি খাবার বেশি পছন্দ করেন তাহলে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেসিপি। প্রথমেই ফিশ ফ্রাই, কাসুন্দি, গরম ভাত, সঙ্গে লেবু, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ঝুড়ি আলু ভাজা বা বেগুনি। এরপরে একটি তরকারি হিসেবে বানাতে পারেন নবরত্নকারী।
এরসঙ্গেই মাছের মধ্যে বানাতে পারেন গলদা চিংড়ির মালাইকারি ও কলাপাতায় ইলিশ মাছের পাতুরি। এরপরেই গরম গরম খাসির মাংস, যা হবে সেদিনের মূল আকর্ষণ। অবশেষে চাটনি, পাঁপড়, শেষ পাতে রসগোল্লা ও আপনার পছন্দ সই মিষ্টি। দুপুরের ভুরিভোজের পর বিকেলে পেটে জায়গা না থাকলেও এই বিশেষ দিনে ভাইদের খাওয়াতেই হবে। তাই হালকার মধ্যে বিকেলে আপনি বানিয়ে নিয়ে পারেন বেশ কিছু সরবত ও ফলের স্যালাড।
এবার পালা রাতের। জমজমাটি গোটা দিন কাটানোর পরে রাখীর স্পেশাল মানুষদের জন্য বানাতে হবে কিছু লোভনীয় খাবার। রাতে খুব বেশি কিছু না করে, আপনারা সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন বাসন্তী পোলাও সঙ্গে চিকেন কষা ও শেষ পাতে মিষ্টি। আপনারা দেখে নিলেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাখীর বেশ কিছু রেসিপি আইডিয়া। এবার রাখীতে এই লোভনীয় খাবার গুলো বানাতে আর দেরি না করে ঝটপট করে ফেলুন দরকারি বাজার। সঙ্গে নিয়ে এক আকাশ আনন্দ।