Conjunctivitis: বৃষ্টির পর মানুষের চোখ কেন লাল হয়ে যাচ্ছে? ক্ষতি হচ্ছে কি?

দিল্লি-এনসিআরে চলছে বর্ষা বিপর্যয়। শুধু দিল্লি না, বাংলাতেও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে অনেক এলাকায় বন্যা ও জল জমার মতন ঘটনা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। যার…

দিল্লি-এনসিআরে চলছে বর্ষা বিপর্যয়। শুধু দিল্লি না, বাংলাতেও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে অনেক এলাকায় বন্যা ও জল জমার মতন ঘটনা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। যার কারণে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যাকটেরিয়া রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে। বর্তমানে, দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কনজেক্টিভাইটিস (চোখের ফ্লু) রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালগুলোর চক্ষু বিভাগের ওপিডিতে আসা প্রতি তৃতীয় রোগীর চোখে ফ্লুর সমস্যা রয়েছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসকরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। আগের তুলনায় অনেক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। এমতাবস্থায় এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সবার জানা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই চোখের এই রোগটি কেন ছড়াচ্ছে এবং প্রতিরোধের উপায় কী।

   

কনজেক্টিভাইটিসের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে

দিল্লির এক হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছেন যে দিল্লিতে বন্যার পর থেকে কনজেক্টিভাইটিসের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এই রোগটি ঘটছে। আগে যেখানে সপ্তাহে দু-একটি এ রোগ হতো, এখন প্রতিদিন আট থেকে ১০টি রোগী আসছে। এবার আগের চেয়ে বেশি রোগের ঘটনা আসছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের চোখের যত্নে নজর দেওয়া উচিত।

কনজেক্টিভাইটিস রোগ কি?

চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করছেন যে কনজেক্টিভাইটিসকে সাধারণ ভাষায় চোখের ফ্লু বলা হয়। এলার্জি এবং সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়। বর্ষাকালে চোখের ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ির কোনো এক ব্যক্তি যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়, তবে অন্য লোকেরাও এর শিকার হতে পারে।

কেন এই রোগ হয়

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বর্ষাকালে ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়ে। বাতাসে দূষণ, আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এ কারণে মানুষের চোখের সমস্যা হয়। চোখের সঠিক যত্ন নিলে সমস্যা কমতে পারে। যারা চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদের এই সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। চোখের ফ্লু গোলাপী চোখ এবং কনজেক্টিভাইটিস নামেও পরিচিত। চোখের ফ্লু বা কনজেক্টিভাইটিস হল চোখের সাদা অংশে সংক্রমণ।

চোখের দিকে তাকিয়ে কনজেক্টিভাইটিস ছড়ায় না
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে সংক্রামিত ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে চোখের ফ্লু ছড়ায়, তবে তা নয়। এই রোগটি তখনই ছড়ায় যখন আপনি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করেন এবং তারপর আপনার চোখ স্পর্শ করেন।

কনজাংটিভাইটিস কোনো বিপজ্জনক রোগ নয়, বেশিরভাগ মানুষেরই এই রোগ পাঁচ থেকে সাত দিনে সেরে যায়। কিন্তু এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যাটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। যদি কোনও ব্যক্তির চোখের ফ্লুর লক্ষণ দেখা যায় তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

কনজেক্টিভাইটিসের লক্ষণ কী কী?

লাল এবং গোলাপী চোখ
চোখ চুলকানো
ফোলা চোখ
কিছু ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি হতে পারে

কিভাবে রক্ষা করতে হবে?

কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে নিন
চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন
আপনার ন্যাপকিন তোয়ালে ভাগ করবেন না
নিজের চোখে কোনো ওষুধ দেবেন না
আক্রান্ত রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন
নদী বা সুইমিং পুল এড়িয়ে চলুন