কাশি (Cough Relief)এক সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা শরীরের শ্বাসনালী থেকে ধুলা, জীবাণু, অথবা অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেওয়ার একটি উপায়। তবে এটি যদি দীর্ঘস্থায়ী বা অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করে।
নানা ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ, ধুলোবালি, ধূমপান, অ্যালার্জি অথবা ঠান্ডা লেগে কাশি দেখা দিতে পারে। ওষুধের পাশাপাশি প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা নিয়মিত ব্যবহারে এক সপ্তাহের মধ্যেই কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তুলসী পাতা প্রকৃতির অ্যান্টিসেপটিক
তুলসী পাতাকে “জীবনের রক্ষা কবচ” বলা হয়। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কাশি কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ৫-৭টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে বা তুলসী পাতা সেদ্ধ করে তার পানি খেলে গলা ব্যথা ও শুকনো কাশির আরাম মেলে।
আদা প্রাকৃতিক কফ নিরোধক
আদা শরীর গরম রাখে এবং শ্লেষ্মা গলাতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে কাশি দ্রুত কমে যায়। এছাড়া আদা চা কাশি ও ঠান্ডা দূর করার একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায়।
মধু প্রাকৃতিক কাশি নিরাময়কারী
মধু গলায় আরাম দেয় এবং কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষ করে শিশুদের কাশিতে মধু অত্যন্ত কার্যকর। এক চামচ মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। তবে এক বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে মধু খাওয়ানো উচিত নয়।
লবঙ্গ কাশির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অস্ত্র
লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ কাশি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি লবঙ্গ মুখে রেখে চুষে খেলে বা লবঙ্গ চায়ের মতো পানীয় তৈরি করে খেলে গলা পরিষ্কার হয় ও কাশির প্রকোপ কমে।
মুলেঠি আয়ুর্বেদীয় আশীর্বাদ
মুলেঠি বা যষ্টিমধু প্রাচীন আয়ুর্বেদে কাশির ঘরোয়া চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। এটি শ্বাসনালীকে শিথিল করে এবং গলা ব্যথা উপশম করে। মুলেঠি গুঁড়ো এক চা চামচ গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
এই পাঁচটি জড়িবুটি একসাথে বা আলাদা আলাদা ভাবে নিয়মিত সেবন করলে এক সপ্তাহের মধ্যেই কাশির প্রকোপ অনেকটা কমে আসবে। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক চিকিৎসা শুরু করার আগে নিজের শরীরের সাথে মানানসই কিনা তা দেখে নেওয়া জরুরি। যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা রক্ত সহ কাশি হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টেবিলের জট ছাড়াতে ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান ও কাস্টমস
প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যেই রয়েছে অনেক সমস্যার সমাধান। একটু সচেতনতা ও নিয়ম মেনে এই পাঁচটি জড়িবুটি ব্যবহার করলে কাশির মতো সাধারণ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই রাসায়নিক ওষুধের দিকে না ঝুঁকে প্রাকৃতিক পথ বেছে নেওয়া হোক আমাদের নতুন অভ্যাস।