আয় যাই হোক, মাসিক বাজেট তৈরি করে ফিনান্সিয়ালি ফ্রিডম হোন

সবার এক সমস্যা! যতই বাজেট করি, খরচের সময় সব এলোমেলো হয়ে যায়। এর জন্যে দরকার একটু অনুশীলন, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ।  সঙ্গে কিছু ফ্রেমওয়ার্কও দরকার। কীভাবে…

Achieve Financial Freedom

সবার এক সমস্যা! যতই বাজেট করি, খরচের সময় সব এলোমেলো হয়ে যায়। এর জন্যে দরকার একটু অনুশীলন, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ।  সঙ্গে কিছু ফ্রেমওয়ার্কও দরকার। কীভাবে করবেন মাসিক বাজেট তৈরি করে ফিনান্সিয়ালি ফ্রিডম (Financial Freedom) হবেন? তারই সুলুক সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।

আনুমানিক ৪ জনের সংসারের বাজেট তৈরি করে দেওয়া হল। আপনারা বাড়িতে ৪ জন মানুষ। তাহলে মাসের শুরুতে, বাজার প্ল্যান করতে হবে। একটা মাসকে ৪ টে সপ্তাহে ভাগ করে নিন। এবার প্রতি সপ্তাহের হিসাব করুন।

   

​সপ্তাহে ২ দিন মাংস, ৩ দিন মাছ (একদিন ছোটমাছ, একদিন বড় মাছ, একদিন সামুদ্রিক মাছ),এক দিন ভর্তা ভাজি নিরামিষ, আর একদিন ডিম।
​মাসে একদিন পোলাও, জমজমাট খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।

​বাসার কোন খাবার অতিরিক্ত বানাবেন না। মাথা পিছু দুই পিস মাংস, এক পিস আলু বা একপিস মাছ, সবজি, ডাল। এই দিয়ে ভাত খেতে হবে।
​কেউ খেতে না চাইলে তাকে সরাসরি উপবাস করতে হবে। একদিকে এভাবে খেতে খেতে অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে আর অন্যদিকে সেভিংসও।
​মাসে একদিন সপরিবারে বাইরে খেতে যেতে পারেন।

​মাসে একটি নিমন্ত্রণ ও যেতে পারেন। একাধিক নিমন্ত্রণ এলে তার মধ্যে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝে একটিতে যেতে হবে। সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজে দেউলিয়া হয়ে লাভ নেই।

​মাসে একদিন বাড়িতে অতিথি আসতে পারে। শুধুমাত্র বাবা-মা, পরিবার, শ্বশুর শাশুড়ি হলে একটা লম্বা সময় ধরে আপনার বাড়িতে তারা থাকলেন এটা হতে পারে। তা না হলে বাকি যে কোনও অতিথিকে দিনের পর দিন আপনার বাড়িতে খাওয়া পরা দিয়ে রাখাটা সম্ভব নয় বা এটা আপনার বাজেটের আওতায় পড়বে না।
​মেসে যে স্টাইলে খাবার পরিবেশন করা হয়, সেই স্টাইলে খাবার খেতে হবে।

​প্রতি মাসেই কিছু ফিক্সড খরচ আছে। যেমন,
১।  বাচ্চার স্কুল খরচ
২।  স্কুল ও অফিসের যাতায়াত খরচ
৩।  টিফিন ও টিউটর
৪।  ইন্টারনেট
৫।  ইলেকট্রিক বিল, জল ও গ্যাস
৬।  ফোনের রিচার্জ
৭।  কাজের লোক থাকলে তার বেতন
৮।  কেউ ভাড়া বাড়িতে থাকলে সেই টাকা
৯।  কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং বাড়িতে কেউ অসুস্থ থাকলে সেই খরচ

​মনে রাখতে হবে, মাসের শুরুতেই এই ফিক্সড খরচ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
​কাপড় বছরে ৩-৪ সেট কিনলে ঠিক আছে। বাকিটা ওয়েস্টেজ। শো অফের জন্যে। এগুলার কোনও দরকার পড়ে না।
​প্রতি মাসে উপার্জন থেকে ৬০% এর মধ্যে মাসিক বাজেট বানিয়ে নিন। বাকিটা সেভিং, ইনভেস্টমেন্ট, ইমারজেন্সি ফান্ড ও দানকাজে ব্যয় করুন।
​বাৎসরিক কিছু খরচের বিষয় থাকে, একবার রিফ্রেশমেন্টের জন্য বাইরে ঘুরে আসতে পারেন।
​তিন মাসে একদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। এর জন্যে একটা বাজেট করতে হবে।
এই নির্দেশনা অনুসরণ করলে, আপনি স্বল্প আয়ের মানুষ হলেও আপনার পক্ষে ফাইনান্সিয়াল ফ্রিডম পাওয়া সম্ভব।