বঙ্গ BJP বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীতের অবমাননার অভিযোগে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। শাসকদল ত়ৃণমূলেন তরফে FIR এর ভিত্তিতে একাধিক বিজেপি বিধায়ককে লালবাজারে তলব করা হল। শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ পাঁচ বিধায়ককে নোটিশ দিয়ে সোমবার লালবাজারে হাজিরা দিতে বলেছে কলকাতা পুলিশ।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় বিধানসভায়। সেখানে বিজেপির যে বিক্ষোভের ঘটনা বা জাতীয় সংগীতের অবমাননা হয়েছে এই অভিযোগ তোলেন তাপস রায়। “ভারতের থেকে ক্ষমা চাওয়া উচিত” বিধানসভার মোশন আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাপস রায়।
তাপস রায় বলেন, “জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছে এমন কি গতকালও করেছে। কেন্দ্র বিজেপির কোন নেতা বা রাজ্য বিজেপিও নেতাকে আমি নিন্দা করতে দেখিনি। ৪৮ ঘণ্টা হতে চলল। যেটার জন্য তারা অনুতপ্ত বা ক্ষমা চেয়েছে। অনেক অ্যান্টি ন্যাশনাল কাজের মধ্যে এটা আরেকটা সংযোজিত হলো। যে বিজেপি সব সময় তার দলকে জাতীয় মর্যাদার ঊর্ধ্বে চায়। আমার প্রশ্ন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আপনারই ফ্লপ শো পরপরই কি তাদের বাধ্য করল। আপনারও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে উচিত এদের সতর্ক করা, নিন্দা করা। তাদেরই আমার জন্য পাপের জন্য যেন তারা ক্ষমা চায়।”
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তারা কর্মসূচি পালন করছিল। সেই সময়ে অভিযোগ বিজেপির বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তারা বিক্ষোভ দেখান ও জাতীয় সংগীত অবমাননা করেন বলে অভিযোগ। তাই তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফ থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাপস রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তারা লিখিতভাবে বিধানসভার স্পিকার এর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিধানসভার রেজিস্টার এক ঘটনাটি হেয়ার স্ট্রীট থানায় ফরওয়ার্ড করে। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির ১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আরএসএস ও বিজেপি মনে করে ভারতের সংবিধান একজন মাইনরিটি তৈরি করেছিলেন। মাইনোরেটি একজন সংবিধান তৈরি করেছিলেন বলেই এটা হিন্দু রাষ্ট্র হয়নি। সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। আম্বেদকর কে ঘৃণা করে এরা। আবার তারাই আম্বেদকরের মূর্তি শুদ্ধ করতে লেগেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তারাই আবার এটা করছে তারা জানেন তারা কি বিশ্বাস করে। আম্বেদকর কে অপমান করছে সংবিধানকে পদদলিত করছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। তাই বাংলার মানুষ এদেরকে বিপুল ভোটে হারাচ্ছে। ওই জন্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে সরে এসে এক এক করে তৃণমূল কংগ্রেসের দরজায় কড়া নাড়ছে।”