Facebook Love: বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী

দীর্ঘদিন হয়ে গেল কোনও খোঁজ নেই স্বামীর। স্বামীর ছবি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে তরুণী স্ত্রী। প্রশ্ন একটাই, ‘আর কি খুঁজে পাবো স্বামীকে?’ ঠিক কী ঘটেছিল?…

দীর্ঘদিন হয়ে গেল কোনও খোঁজ নেই স্বামীর। স্বামীর ছবি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে তরুণী স্ত্রী। প্রশ্ন একটাই, ‘আর কি খুঁজে পাবো স্বামীকে?’ ঠিক কী ঘটেছিল? লকডাউনে ফেসবুকে পরিচয় হয় সুভাষ চন্দ্র দাসের সঙ্গে পিঙ্কি সাহার। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর সেই বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। এদিকে বিধিনিষেধের কারণে সামনা সামনি দেখা না হলেও টানা একবছর অনলাইনে চুটিয়ে প্রেম চালান তাঁরা।

এরপর ২০২১ সালের আগষ্ট দুজনের দেখা হয় এবং তৎক্ষণাত কালীঘাটে গিয়ে মালা বদল করেন দুজনে। একেবারে সুখী দম্পতি হিসেবে কলকাতার পার্কসার্কাসে শুরু করেন সংসার। যদিও সেই সুখের সংসার কখন যে দুঃখে বদলে যাবে তাঁর আঁচ পাননি পিঙ্কি। ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে হটাৎ নিখোঁজ হয়ে যান সুভাষ চন্দ্র দাস। এদিকে স্বামীর খোঁজে কলকাতার তপসিয়া থানায় রুজু করেন স্ত্রী পিঙ্কি সাহা।

   

পুলিশ সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝে সুভাষের মোবাইলের শেষ লোকেশন দেখিয়েছে। তারপর থেকেই ফোন বন্ধ। এদিকে সেই সূত্রেই এক সপ্তাহ যাবত ধূপগুড়িতে ঘাটি গেড়ে স্বামীকে খুঁজে চলেছে ওই তরুণী। পিঙ্কির বাড়ি কলকাতার বিধাননগরে৷ সে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানায়, ‘ফেসবুকে পরিচয়ের পর একটি অনলাইন গানের অ্যাপের মাধ্যমে সুরে সুর মিলে যায় দুজনের৷ এরপরেই বিয়ে আর তারপর এই ঘটনা। লাপাতা হয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরিয়ে নিতে ধূপগুড়ি চষে ফেলা তরুণী বলেন, একটা বার সামনা সামনি দাঁড়াতে চাইছি৷ নিজেকে প্রতারিত ভাবব নাকি বোকা তাই বুঝতে পারছি না। তবে সবকিছুর পরে ওকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’