কে হবেন তৃণমূলের (TMC) পরবর্তী যুব সভাপতি? তৃণমূলের অন্দরেই চলছে জোর জল্পনা। এক সময়ে এই যুব সভাপতির পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে তাঁর ঝড়ের গতিতে উত্থান এবং পরবর্তীকালে তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে বসেন সায়নী ঘোষ। সায়নী অধুনা সংসদের সাংসদ হয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। ফলে ফের তৃণমূলে তৈরি হয়েছে শূন্যস্থান। কে হতে চলছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি? তৃণমূলের অন্দরে ভাসছে বেশ কতগুলি নাম।
আদানির মাথায় হাত! জলে গেল বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ?
সবার প্রথমে আছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম। তারপরের সারিটা বেশ লম্বা। সেই লম্বা তালিকায় জ্বলজ্বল করছে দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম। প্রসঙ্গত দেবারাজ তৃণমূলের যুব সভাপতির পদের জন্য সবচেয়ে জোরাল ক্যান্ডিডেট বলে মনে করছে ঘাসফুলেরই একাংশ। আবার তৃণমূলের অন্য একটি সংগঠনের দাবি, নেত্রী জয়া দত্তকেও এই পদের দাবিদার করা যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, দাবি আরও আছে। নেত্রী রাজন্যা হালদারকেও এই পদের জন্য বিবেচিত করা হয়েছে বলে খবর। তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহাকেও এই পদের দাবিদার মানছে অনেকে। এই নাম ছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু যুব নেতানেত্রীর নাম।
আজন্ম ‘বামপন্থী’ বুদ্ধদেবের মুখে গায়ত্রী মন্ত্র? অজানা কাহিনী শুনলে চমকে যাবেন!
কিন্তু তৃণমূলের ‘যুব’ সভাপতির পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কারণ আর দেড় বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচন আর সেই নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। লোকসভা ভোটের আগে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ হয়েছে। সঠিক সময়ে ক্রাইসিস ম্যানেজ করার মতো ঘাসফুলের কোনও যুব নেতা বা নেত্রীকে চোখে পড়েনি। ঘাসফুলের অনেক যুব নেতানেত্রীর কথায়, একজন নবপ্রজন্মের মুখকে লাগবে যার ধারালো বক্তব্য নবপ্রজন্মকে তৃণমূল করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
তৃণমূল আইটি সেলের এক সাংসদ ঘনিষ্ঠ নেতার কথায়, ‘ তৃণমূলের যুব সভাপতির পদে দেবরাজ চক্রবর্তী নাম প্রায় চূড়ান্ত। দেবারাজের অভিষেকের খুব কাছের। এইবছর লোকসভায় ভাল কাজের ফল হিসেবে তাঁকেই যুব সভাপতির পদে দেখা যাবে।’ এই বিষয়ে কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলে তিনি কলকাতা ২৪x৭.ইনকে জানান যে, ‘ এই বিষয়ে আমি এখুনি কিছু বলতে চাইছি না।’ তাঁকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ‘ যদি যুব সভাপতির পদের জন্য আপনার কাছে প্রস্তাব আসে তাহলে কী করবেন?’ তিনি উত্তরে বলেছেন, ‘ সেটা পরে ভেবে দেখব।’ অন্যদিকে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ফোন ধরেননি। যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার জানলেন যে, ‘ দল যদি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ভেবে দেখব।’
ভরসা দিদিই! মাছ চেয়ে মমতার কাছে হাত পাতছে বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্য
প্রসঙ্গত ছাত্রযুবরা তৃণমূলের প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছেন। এক সিনিয়র নেতার কথায়, অভিষেক জমানায় ছাত্ররা যতটা তৃণমূলে আসত সেই সংখ্যা সায়নীর জমানায় কমেছে বলেছে দাবি। তবে এই কথার সত্যতা কলকাতা ২৪x৭.ইন যাচাই করেনি। তবে খাতায় কলমে তৃণাঙ্কুর এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ দেবারাজের নামে শিলমোহর পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় তৃণমূলের কিছু নেতাই খাঁড়া করছে ‘লবি’ তত্ত্ব। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন তৃণমূল আনপ্রেডিকটেবল দল। কখন কোন সিদ্ধান্ত নেবে সেটা বলা মুশকিল, তবুও দেবারাজের নামে শিলমোহর পড়া নাকি সময়ের অপেক্ষা।