ডেঙ্গুর দাপটে সংকটে রাজ্যবাসী, বর্তমানে আক্রান্ত ৩০২৪

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০২৪। বিধান নগর পু অবস্থা অতি সংকট জনক। হাসপাতল ভরছে আক্রান্ত রোগীতে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য…

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০২৪। বিধান নগর পু অবস্থা অতি সংকট জনক। হাসপাতল ভরছে আক্রান্ত রোগীতে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট বেরিয়েছে, সেখানে মোট আক্রান্ত ৩০২৪ জন, তার মধ্যে ১৫৯৭ জন শহরাঞ্চলের। ১৪২৭ জন গ্রামাঞ্চলে। এর আগে নজরে এসেছিল ডেঙ্গুর প্রকোপ শহরে সবচাইতে কম। তবে এখন গ্রাম ছাড়িয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শহরের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় ৫৪৩ জন। যে পুরসভায় প্রত্যেকবার শীর্ষে থাকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সেই দক্ষিণ দমদমে এবার আক্রান্তের সংখ্যা ২২৬ জন।

গ্রামীন এলাকার অর্থাৎ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার আমডাঙায় ৩৭৩ জন আক্রান্ত। সবচাইতে বেশি উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বনগাঁও এলাকায়। এখানে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমান আক্রান্ত ৩০৭ জন। আমডাঙ্গা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মরশুমের শুরুতে আমডাঙার একটি পঞ্চায়েতেই ২০০ জন আক্রান্ত। তবে গত কয়েক সপ্তাহে কমেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটে মানুষের আনাগোনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই আমডাঙার বিডিও বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করেছেন।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কান পাতলে সোনা গিয়েছিল যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণেই ডেঙ্গুর প্রকোপ আটকানোর ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা ছিল শুন্য। তবে এবার নির্বাচনের পর থেকে ডেঙ্গু সচেতনতার দিকে নজর দিতে সোচ্চার হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে সকল কর্মীরা রয়েছেন তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। কারা জ্বরে আক্রান্ত তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে গোটা এলাকায় জন সচেতনতা নেই বলে দাবি করছেন পুরপ্রধান।

এখন শহরাঞ্চলে সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থা বিধাননগর পুরনিগমে। যেখানে সব চেয়ে বেশি অভিজাত শ্রেণীর বসবাস। এই এলাকায় চারিদিকে জমা জল, আবর্জনার ছড়াছড়ি।প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে ডেঙ্গু প্রকোপ কমানোর জন্য। তবে গত কয়েক সপ্তাহের রিপোর্ট অনেকটাই উদ্বেগজনক।