ভোটের দিন সকাল থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে শুরু করছে। ইতিমধ্যে অনেক বিষয়েই হস্তক্ষেপ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে। তৃণমূলকর্মীর মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনা থেকে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে কিন্তু তার মধ্যেও ধরা পড়ে অন্য এক ছবি। জলপাইগুড়িতে ভোট দিলেই মিছিলে পিকনিকের মজা। ভোটারদের জন্য এক অভিনব ব্যবস্থা করা হল তৃণমূল সদস্যদের তরফে। ভোট দিলেই মিছিলে লুচি, কাবলিচানা, মিষ্টি এবং পনীর। এখানেই শেষ নয় দুপুরের পাতে আছে ডিম, ভাত,ডাল এবং চাটনি।
এই তীব্র গরমে জলপাইগুড়িতে যেন চড়ুইভাতির চিত্র। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭,২০৮ এবং ২০৯ নম্বর বুথের ভোটারদের আহারের সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে এই আয়োজনে বেজায় খুশি ভোটাররা। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর পর তাঁরা খাবারের লাইনেও দাঁড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটকে একদম উৎসবে পরিণত করার কোনও চেষ্টাই ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সকাল থেকেই যেমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভিড় তেমনি ভিড় লুচি মিষ্টির লাইনে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা কলোনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের খাওয়া-দাওয়ার এমনই এলাহি আয়োজন কিন্তু সবার জন্য। রাজনীতির রঙ না দেখে সবাইকে খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিরোধী শিবির এই বিষয়টিকে খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না। তাঁরা ভোটারকে প্রভাবিত করতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু ভোটের গরম বাজারে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একদম পিকনকের আমেজ।