এগরার ছায়া এবার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায়। বাজি কারখানায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে ধূলিসাৎ এলকার বেশ কয়েকটি বাড়ি। বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। আহত বহু। তবে এই ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিজেদের নির্দোষ দাবি শাসক দলের। বিস্ফোরণ ঘটনায় রীতিমত রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে জাতীয় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, “কদিন আগে যখন এগরার ঘটনা ঘটলো তখন মুখ্যমন্ত্রী বলল, আর এই জিনিস হবেনা। কিন্তু বিস্ফোরণের শেষ নেই। বাংলা এখন বিস্ফোরণের বাংলা। এগরার ঘটনার পর আমরা ভেবেছিলাম রাজ্য সরকার শিক্ষা নেবে। বিধি নিষেধ আরোপ করবে। এই ভাবেই ঠেকানো যাবে মানুষের মৃত্যু”।
তিনি শাসক দলকে ব্যর্থ দাবি করে বলেছেন, “এই সরকার শুধুমাত্র ব্যর্থতার দলিল দিচ্ছে। তবে যে সরকার ব্যর্থতার দলিল জিতবে বলে ঠিক করেছে। সেই সরকারের নেতৃত্বে এই বাংলায় মানুষের নিরাপত্তার সম্ভাবনা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের জীবন বড় সস্তা হয়ে যাচ্ছে এই বাংলায়। কারণ এ বাংলায় তৃণমূলের সরকার ব্যর্থতার দলিল জিততে ব্যস্ত”।
বিস্ফোরণের বিষয়ে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করছে। দুর্ঘটনা যে কোনও ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে এটি কারোর হাতে থাকে না। যারা বাজি শিল্পকে দায়ী করছেন আমি তাদের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কারণ বাজি শিল্পের সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে রয়েছে”।
বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাবে কুণাল ঘোষ আরো বলেন, “এখানে দেখতে হবে কারোর নির্দিষ্ট অনিয়ম ছিল কিনা। মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন সেসব মানছে কিনা দেখতে হবে। ফলে শকুনের রাজনীতি করে বিরোধীরা চিল চিৎকার আরম্ভ করবে। আর সেগুলো জানার আগেই আমাদের বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। বিষয়টি সেটা নয়”।