Madan Mitra: কিছুই পায়নি সিবিআই, মেজাজেই আছেন মদন

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ। ভবানীপুরের বাড়ির সামনে সকাল থেকেই তাই ভিড় উপচে পড়ছিল। তল্লাশি চলাকালীন তাকে কোথাও দেখা না গেলেও, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার…

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ। ভবানীপুরের বাড়ির সামনে সকাল থেকেই তাই ভিড় উপচে পড়ছিল। তল্লাশি চলাকালীন তাকে কোথাও দেখা না গেলেও, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পরই চেনা ভঙ্গিতে ধরা দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। জানালেন, তার বাড়ি থেকে কিছু পায়নি সিবিআই। কিছু যে মেলেনি, তদন্তে সহযোগিতা পেয়েছেন, তা লিখেও দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এদিন বিকেলে বাড়ির বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মদন। সেখানে তিনি বলেন, “ওরা এসেছেন, যা জানেত চেয়েছেন, জানিয়েছি। যা তথ্য চেয়েছেন, দিয়েছি। এখন শুনছি দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও গিয়েছেন। কিন্তু পৌরসভায় যখন চাকরি হয়েছে, আমি বিধায়ক ছিলাম না। হেফাজতে ছিলাম। সেখান থেকে নজরদারি চালাব কী করে? বিধায়ক নই, জেলে বন্দি,তার পরেও এত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারলে গণতন্ত্রের উপর আমার নিজেরই আর আস্থা থাকবে না।”

মদন বলেন, “আমার সঙ্গে এসব কারবার ছিল না। আমি মদন মিত্রক। বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি, ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। তাতে যদি এক ইঞ্চি দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন, ধরার প্রয়োজন পড়বে না। গলায় দড়ি দিয়ে নিজে গঙ্গায় লাফ দেব। আমি পরোয়া করি না।” কিন্তু কেন তাঁর বাড়িতে CBI গেল? তার জবাবে বলেন, “সিবিআই আমাকে ভালবাসে। বুঝতে পারছি, মোদিজি যাচ্ছেন, I.N.D.I.A আসছে।”

মদন আরও বলেন, “ধরুন ১০০০ অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেল। কিন্তু তাঁর মধ্যে একজনও চাকরি পেয়েছেন কিনা দেখতে হবে। যদি কেউ পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কোনও টাকা দিয়েছিলেন কিনা, কারও সুপারিশ গিয়েছিল কিনা, পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন কিনা, তদন্ত করে বের করতে হবে। অনেকেই বলেছিলেন, ‘পরীক্ষা দিচ্ছি, দেখবেন প্লিজ’। আমিও বলেছিলাম, জগন্নাথের যেমন হাত নেই, আমারও নেই। অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু সিবিআইউ আজ লিখে দিয়ে গিয়েছে, কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন। আমি এখানে ছিলাম। দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে নেই। কিন্তু কথায় আছে মূর্তি ছাড়া রথের দাম নেই। এখানে আমি নিজে ছিলাম।”