গোরু পাচারে CBI নোটিশ পেতেই ফিস্চুলা যন্ত্রণা বেড়েছে অনুব্রতর, তৃণমূলে ‘স্বস্তি’

বীরভূম জেলা তৃ়ণমূল কংগ্রেসে একটু স্বস্তি! জেলার এক বড় নেতা স্বীকার করে নিলেন, কেষ্টদা আজ সিবিআই (CBI) গুহা (নিজাম প্যালেস) যাচ্ছেন না এটাই তো চিন্তা…

বীরভূম জেলা তৃ়ণমূল কংগ্রেসে একটু স্বস্তি! জেলার এক বড় নেতা স্বীকার করে নিলেন, কেষ্টদা আজ সিবিআই (CBI) গুহা (নিজাম প্যালেস) যাচ্ছেন না এটাই তো চিন্তা কাটাল। দাদার ফিস্চুলার যন্ত্রণা বাড়ছে তো!

এদিকে কলকাতা সরগরম। এসএসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে গেলেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আগেই চিঠি দিয়ে নিজের অসুস্থতা উল্লেখ করে বলেন, সোমবার সিবিআইয়ের জেরায় হাজির হতে পারছেন না। এর আগেও তিনি জেরার আগে উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢুকেছিলেন। সেবার অণ্ডকোষ পেকেছিল।

পরে পাকা অণ্ডকোষ ঠিক করে তিনি একবার নিজের ইচ্ছায় সিবিএসই জেরায় হাজিরা দেন। তারপর বোলপুর চলে যান। এর মাঝে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি কালো টাকা লেনদেনে জড়িত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গেছেন। বীরভূমে তাঁর বিপুল সম্পত্তি মিলেছে। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, পার্থবাবু জেলে যাওয়ার পর থেকে কেষ্টদা আরও মুষড়ে পড়েন।

anubrata mondal

তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ফিসচুলার সমস্যা বাড়ায় চেক আপের করানো জরুরি। পূর্ব নির্ধারিত চেক আপের ডেট রয়েছে এদিন তাই তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সিবিআইয়ের কাছে খুব শীঘ্রই হাজিরা দেবেন৷ এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।

উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় এর আগে অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ হাতে পেয়েছে সিবিআই। সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে গত সপ্তাহে বীরভূম জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল, কেরিম সহ একাধিক জনের বাড়িতে তল্লাশি চলে৷ ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। উদ্ধার করা হয়েছিল একাধিক মোবাইল ফোন। এই সমস্ত কিছুকে সামনে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের খাঁচা তৈরি হয়ে গেছে। ওনার বিরুদ্ধে যা তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তাতে উনি গেলে আর ফিরতে পারবেন না।

সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপির সেটিং চলছে। সবাই জানে একথা।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে একযোগে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে দিদি কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। বলেছেন এবার নিজে নিজে অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকো।