নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর কুন্তল-শান্তনুকে (Kuntal Ghosh and Shantanu Banerjee) বহিষ্কার করল তৃণমূল (TMC)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল এবং সরকারের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। এখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলীর বলাগড়ের দুই তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁদের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলতেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল ঘাসফুল শিবির।
মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ব্রাত্যর বার্তা, আমরা বারবার বলে এসেছি দুর্নীতিতে যুক্ত কাউকে রেয়াত করবে না তৃণমূল। তাই শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল দল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর শান্তনু এবং কুন্তলকে গ্রেফতারের পর থেকেই বারবার তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করে বিরোধীরা। এমনকি দুই যুব তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের একাধিক ছবিও ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। একদিকে যুব তৃণমূলের পদে রয়েছেন কুন্তল। অন্যদিকে হুগলী জেলার স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছে শান্তনু। সেই ইস্যু যেন দিনের পর দিন শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছিল। অবশেষে দুই নেতাদের ডানা ছেঁটে ফেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় পদক্ষেপ নিল শাসক দল।
শান্তনু ও কুন্তলকে দল থেকে ছেঁটে ফেলে দিলেও এখনও অবধি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তৃণমূল। অন্যদিকে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়েও। উল্টে কেষ্টর প্রশংসায় একাধিক মন্তব্য করতে দেখা গেছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের।