TMC: বালুরঘাটের সভার পরেই, তৃণমূল ভবন থেকে শাহের বঙ্গ সফরকে দিশাহীন বললেন কুণাল ঘোষ

অমিত শাহের আজ বালুরঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে মন্তব্যের পরেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।…

kunal and chandrima

অমিত শাহের আজ বালুরঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে মন্তব্যের পরেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুরুতেই কুণাল ঘোষ বলেন “কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরকে কেন্দ্র করে সফরে আসা দিশাহীন , কুৎসা সম্পন্ন, দায়িত্ব এড়ানো নিজেদের কেলেঙ্কারী চাপার অপচেষ্টা মাত্র। রাজ্যে এসে তিনি আসন দখল নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তা চরম হাস্যকর। কারণ আমরা দায়িত্বের সঙ্গে বলছি এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন হয় তৃণমূল কংগ্রেস ৩০-৩৫ টি আসন পাবে। রাজ্যে বিজেপি বলে কিছুই নেই,তাদের সংগঠনও নেই, কর্মী নেই সমর্থক নেই। এই বাংলায় অমিত শাহের দল নেই আছে শুধু তার বাহিনী।”

“সেই কারণেই সিবিআই,ইডি, এনআইএ কে ভোটের আগে ক্যাডার হিসাবে কাজ করাচ্ছে। কারণ শাহ জানেন এই রাজ্যে তাদের কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন। হাস্যকর বিষয় আজ তিনি সুকান্ত মজুমদারের প্রচারে গিয়ে বালুড়ঘাটকে বেলুরঘাট বলেছেন । আসলে তিনি বাংলাই চেনেন না। লজ্জার বিষয়।”

পাশাপাশি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন “কেন্দ্র কেন স্বেতপত্র প্রকাশ করছেন না? মা , বোনেদের কথা না ভেবেই বড়ো বড়ো কথা বলছেন রাজ্যে এসে। ৫০০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ছাদ উড়ে গেল সেদিকে লক্ষ্য নেই। শুধু এক্স হ্যান্ডেলে দুঃখ প্রকাশ করছেন ওটা এক্স ই হয়ে যাবে। দেখবেন এই বাংলার মা , বোনেরাই নির্বাচনে আপনাদের সঠিক জবাব দেবে।”

কারণ আজ বালুরঘাটে নির্বাচনীয় সভায় এসে নয়া লক্ষ্যমাত্রা দিলেন অমিত শাহ। কিছুদিন আগে পর্যন্তও ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলায় ৪২-এ ৪২ করতে হবে। তবে শাহ এদিন বললেন, “৩০ আসন চাই”। পাশাপাশি বলে “এত রাগে বালুরঘাটে বোতাম টিপবেন যেন কলকাতায় মমতা দিদির গায়ে কারেন্ট লাগে।” এছাড়াও সন্দেশখালি ইস্যুতে শাহ আক্রমণ করে মমতাকে প্রশ্ন যে “সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনাতেও আপনি রাজনীতি করছেন! বছরের পর বছর আপনার নাকের নিচে, মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়ে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা অত্যাচার করে চলেছে। যখন তাঁদের ধরতে যাওয়া হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলা করা হয়েছে। যখন হাইকোর্ট বলেছে, তখন সারেন্ডার করেছে ।” এছাড়াও বলেন “ভোট নেওয়ার জন্য তোষণ করে, সন্দেশখালির অপরাধীদের আপনি বাঁচাচ্ছেন। কিন্তু পুরো বাংলার মা-বোনেরা এটা দেখছে। জেনে গিয়েছে তাঁরা।” এখন শুধুই উত্তপ্ত বঙ্গে চলবে আসন দখলের লড়াই। তাতেই মেতেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।