Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, স্টেশন থেকে এবার উঠছে টিকিট বুকিং কাউন্টার!

কলকাতা ও শহরতলীর যাতায়াতে ‘লাইফ লাইন’ কলকাতা মেট্রো। ৪০ বছর আগে তিলোত্তমার উত্তর-দক্ষিণ রুটে মেট্রো পথের সূচনা হলেও বর্তমানে তা বহরে বেড়েছে। সঙ্গে জুড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট,…

কলকাতা ও শহরতলীর যাতায়াতে ‘লাইফ লাইন’ কলকাতা মেট্রো। ৪০ বছর আগে তিলোত্তমার উত্তর-দক্ষিণ রুটে মেট্রো পথের সূচনা হলেও বর্তমানে তা বহরে বেড়েছে। সঙ্গে জুড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-বিবাদি রুটের জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো পথও। প্রতিদিন কয়েক লাখ যাত্রী চড়েন মেট্রোয়। কিন্তু, বেশ কয়েকটি স্টেশনে যাত্রীসংখ্যার নগন্য হার দেখেই বড় পদক্ষেপের পথে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

কলকাতা মেট্রোর তিনটি স্টেশনে আর থাকবে না কোনও বুকিং কাউন্টার। ফলে, যাত্রীদেরই স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন থেকে টোকেন, স্মার্ট কার্ড, কাগজের কিউ-আর কোড ভিত্তিক টিকিট কিনতে হবে। ১লা অগস্ট থেকেই কার্যকর হবে ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ স্টেশন।

   

কোন কোন মেট্রো স্টেশন ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে? কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত যাত্রী সংখ্যা নেহাতই কম হওয়ার দরুন জোকা-বিবাদি রুটে দু’টি এবং নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর রুটে একটি মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাউন্টার থাকবে না। এই তিন স্টেশন হল- জোকা-বিবাদি রুটে তারাতলা, সখেরবাজার। নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর রুটে কবি সুকান্ত।

কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, জোকা বিবাদি রুটে বর্তমানে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো চলছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, তারাতলা স্টেশনে প্রত্যেকদিন গড় যাত্রী হয় মাত্র ৭০ জন। এই রুটেরই সখেরবাজার স্টেশনে গড় যাত্রীসংখ্যা আরও কম। মাত্র ৫৫ জন। সেকারণেই এই দু’টি স্টেশনকে ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ চিহ্নিত করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপে এখনও চালু হয়নি। তবে ওই রুটেই নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছে। রয়েছে ৫ স্টেশন। তার মধ্যে ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ স্টেশন করা হচ্ছে কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনটি। গড়ে রোজ এই স্টেশনটি ব্যবহার করেন মাত্র ২২০ জন।

ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোর সব স্টেশনে ASCRM মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিন থেকে প্রয়োজনে UPI এর মাধ্যমেও টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

বারস্তবতার ভিত্তিতে নতুন এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাবেন বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আপাতত মাস ছ’য়েক পরিস্থিতি নজরে রাখা হবে। তারপর পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।