করুণাময়ীতে এপিসি ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা লাগু করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাঝরাতে চলল ধরপাকড়৷ ১৫ মিনিটের মধ্যে সব চাকরি প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়৷ চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগেই কেন জবরদস্তি ও ধরপাকড় প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা৷ টেট নিয়োগ দুর্নীতি (Tet Scam) ইস্যু আরও জটিল হতে চলেছে।
আইনজীবীদের প্রশ্ন, যদি সঠিকভাবে নিয়োগ হত, তাহলে এদের আন্দোলন করতে হত?এদের চাকরি চুরি হয়েছে। পর্ষদ কেন বলছে না চাকরি প্রার্থীদের দাবিকে মান্যতা দিচ্ছি? আলোচনা করার দায়িত্ব কার?
আইনজীবীদের আরও প্রশ্ন, ঘরের সামনে আন্দোলন করার পরেও কেন চাকরি প্রার্থীদের ইমেল করে পাঠানো হল? বাড়ির সামনে বসে থাকলেও কেন হাতে কপি দেওয়া হল না?
১৪৪ ধারা মানতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। আদালতের তরফে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি যেন পর্ষদ অফিসে কর্মীদের ঢোকা বের হওয়ার ব্যবস্থা করেন। আগামী ৪ নভেম্বর অবধি এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। এর পরেই পুলিশ তুলে দেয় আমরণ অনশন ধর্না মঞ্চ।
চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টে। করুণাময়ীর পর বিরাট জমায়েত হতে পারে হাই কোর্ট চত্বরেও।
অন্যদিকে, আজই রাজ্যজুড়ে বিরাট আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সমস্ত বিরোধী পক্ষ৷ বেলা ১২ টা নাগাদ করুণাময়ীতে বিরাট মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এখনও মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী৷