Tet scam: চাকরি প্রার্থীদের ধর্নায় অফিস ঢুকতে অসুবিধা যুক্তিতে মামলা পর্ষদের

রবিবার দুপুর বারোটায় শুরু হয় এপিসি ভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা। রাতভর কাটে মহানগরের রাস্তায়। সোমবার থেকে সল্টলেক করুণাময়ী এপিসি ভবনের সামনেই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ২০১৪ সালের…

রবিবার দুপুর বারোটায় শুরু হয় এপিসি ভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা। রাতভর কাটে মহানগরের রাস্তায়। সোমবার থেকে সল্টলেক করুণাময়ী এপিসি ভবনের সামনেই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ২০১৪ সালের টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা(TET SCAM)।

প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পর পর শুধু তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া না মেলায় নিজেদের ব্যাগে থাকা খাবার ও জল ফেলে দিয়ে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। সেই ধর্নার বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। তবে আদালতের সিদ্ধান্ত গিয়েছে আন্দোলনরত প্রার্থীদের পক্ষেই, আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। 

   

পর্ষদের সামনে আন্দোলনের ফলে পর্ষদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে , এপিসি ভবনের সামনেই আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনের জেরে অফিসে ঢুকতে পারছেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীরা। যার ফলে কোনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বোর্ডের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

 এতদিন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে এমন কি অসুবিধা হবে? কি কারণে দ্রুত শুনানি? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি নপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই পর্ষদের তরফে করা দ্রুত শুনানির আর্জি বাতিল করে দেন তিনি। মামলা করে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

গত সোমবার থেকে খাওয়া-দাওয়া জলগন গ্রহণ ছাড়া আমরণ ধর্নায় শামিল হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। পর পর দুই রাত কেটে গিয়েছে, রাতভর এপিসি ভবনের সামনেই চলছে ধর্না। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দেওয়া অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরা তাদের নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, রাস্তা থেকে অনেক দূরে আন্দোলন করছেন তাঁরা। এমনিতেও পর্ষদ ভবনে স্বাভাবিক সময়ে কেউ ঢুকতে পারে না। তাঁদের কথায়, শান্তিপূর্ণভাবে অনশন আন্দোলন চলছে। মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতি করেছেন। উনি জেলে গিয়েছেন। তাঁর জন্য আজ তাঁদেরকে রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হচ্ছে। বর্তমান সভাপতি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে দাবি করেন চাকরি প্রার্থীরা।