প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ দুর্নীতির (Tet Scam) প্রতিবাদ ও অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে এপিসি ভবনের সামনে সোমবার থেকে আমরণ অনশনে হাজার খানেক চাকরি প্রার্থী। সেই জায়গা অর্থাৎ সল্টলেক করুণাময়ীর এপিসি ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করল হাই কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ ১৪৪ ধারা মানতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদ অফিসে কর্মীদের ঢোকা বের হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ৪ নভেম্বর অবধি এই নিয়ম বলবৎ থাকবে।
উল্লেখ্য, একসঙ্গে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পাশদের একসঙ্গে ইন্টারভিউয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার থেকেই আমরণ অনশন জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, আর ইন্টারভিউ নয় সরাসরি নিয়োগ চাই। তবে পর্ষদ সভাপতি নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে মরিয়া।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এপিসি ভবনের সামনেই আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনের জেরে অফিসে ঢুকতে পারছেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীরা। কোনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না এমনই অভিযোগ পর্ষদের। কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদের তরফে আদালতের কাছে তুলে ধরা হয় শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, আমরা চাই আমাদের কর্মী অফিসারদের অফিসে ঢোকা বেরনো, গাড়ি যাওয়া আসার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করেছি মেল করে।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীদের সরাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। এলাকায় হাসপাতালের কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানানো হয় রোজ যেভাবে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে অনশন আন্দোলন চলছে। মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতি করেছেন। উনি জেলে গিয়েছেন। তাঁর জন্য আজ তাঁদেরকে রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হচ্ছে। বর্তমান সভাপতি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে দাবি করেন চাকরি প্রার্থীরা।