TET: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় অধিকাংশ জায়গা ফাঁকা, অসম্পূর্ণ বলে ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রকাশিত ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকা অসম্পূর্ণ। শুক্রবার বিকাল ৪টা নাগাদ পর্ষদের তরফে এই দু’টি তালিকা প্রকাশ…

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রকাশিত ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকা অসম্পূর্ণ। শুক্রবার বিকাল ৪টা নাগাদ পর্ষদের তরফে এই দু’টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তালিকা হাতে আসার পর দেখা গিয়েছে, ১ লক্ষ ২৫ হাজার টেট(TET) উত্তীর্ণদের যে তালিকা পর্ষদ প্রকাশ করেছে তাতে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর নাম এবং নম্বর দেওয়া থাকলেও অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা বলেই জানা গেছে। 

একই সঙ্গে ২০১৪ সালের টেট-এ ৮২ পেয়েছেন এই রকম প্রার্থীর ৭ হাজারেরও বেশি সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এক জনেরও নাম নেই। শুধু রোল নম্বর এবং পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর রয়েছে সেই তালিকায়। এর ফলে তালিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

   

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, কোর্টের নির্দেশে ২০১৭ ও ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন তাঁদের নম্বর দেওয়া আছে। রিজার্ভড ক্যাটেগরির যারা ৮২ পেয়েছেন তাঁরা পাশ বলে গণ্য হবেন। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, আমরা ২০১৪ সালের টেট পাসদের নম্বর প্রকাশ করেছি। রিজার্ভড ক্যাটেগরিতে ৭ হাজার জনের বেশি ৮২ পেয়ে পাশ করেছেন। আদালতের নির্দেশ হাতে পেতেই ২০১৪ সালের নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। 

তালিকায় বেশ কিছু রোল নম্বর আছে, কিন্তু তাঁদের নাম নেই, নম্বর আছে। সেটা হয়তো ভুল করে হয়েছে। তথ্য জোগাড় করতে পারিনি। করে দেব ঠিক। মূলত পর্ষদের হাতে সমস্ত তথ্য আসেনি। ত্যাই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জন্য সরকার, পর্ষদের প্রশংসা করেন তিনি। বিচারপতিদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর কথায়, পর্ষদ ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলেনি, রিসাইকেল করা হয়েছে। তথ্য ডিজিটাইজড ফরম্যাটে সংরক্ষিত আছে। 

প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ। ২০১৪ সালের বকেয়া শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই চাকরি পাবে। সেই পদে অন্যদের চাকরি পাওয়ার অধিকার নেই। শুক্রবার এমনটাই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর আগে ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের কথায়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর আগে ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।