West Bengal: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মহীন হতে পারেন ৫৪ হাজার

তৃণমূল কংগ্রেস আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে শাসক শিবিরের৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।…

mamata-car

তৃণমূল কংগ্রেস আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে শাসক শিবিরের৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এর পাশাপাশি নবম-দশম এবং একাদশ-একাদশ শিক্ষক নিয়োগে তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মধ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ সূত্রের খবর, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে চাকরি হারাতে পারেন রাজ্যের (West Bengal) প্রায় ৫৪ হাজার জন।

শোনা যাচ্ছে, এই ৫৪ হাজার জনের চাকরি হয়েছে প্রভাবশালী নেতাদের বদান্যতায়৷ ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতা সুনিশ্চিত করেছিল এই ৫৪ হাজার জনের নিয়োগের মাধ্যমেও। এমনটাও জানাচ্ছে ওই সূত্র। তদন্ত শুরু হলে বিপুল সংখ্যক কর্মরত ব্যক্তি চাকরি হারাতে পারেন বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

   

আরও পড়ুন: Surjya Kanta Mishra: তৃণমূল আমলে চাকরি, গা বাঁচাতে তথ্য দিলেন না অনেকেই!

যদিও এই দুর্নীতির নজির দেখে চমকে গেলেও, তৃণমূল আমলে এটা নতুন কিছু নয়৷ এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ,২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে ২৫ জনের চাকরি বাতিল করে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর নিয়োগের অভিযোগে চাকরি যায় ২৫ জনের৷ এর পর গ্রুপ ডি পদেই একসঙ্গে চাকরি খুইয়ে বসে ৫৭৩ জন৷ চলতি বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর নিয়োগ হয়েছিল। এই মামলায় বেতন বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি বেতন ফেরতের নির্দেশ দেয় আদালত৷

Advertisements

আরও পড়ুন: SSC: দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্যানেল প্রকাশ, সুদিন ফিরছে যোগ্য প্রার্থীদের!

এরই মধ্যে ২০ মে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্যানেলে প্রথমে থাকা ববিতা সরকারের চাকরি না হয়ে কিভাবে তালিকা বদল করে মন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগ হলতাই চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে দুই দফায় টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এরপর জুন মাসের প্রথমেই বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে সিদ্দিক গাজি নামে একজনের চাকরি বাতিল করে আদালত৷

তাই এই বিপুল সংখ্যক দুর্নীতি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এই ঘটনার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিলেন তাঁরা৷ আগামী দিনে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।